ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আচরণবিধি লঙ্ঘন করে পাঁচজনের বেশি লোক নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন বিএনপির প্রার্থী দেওয়ান মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। আজ সোমবার বিকেলে সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আচরণবিধি লঙ্ঘন করে পাঁচজনের বেশি লোক নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন বিএনপির প্রার্থী দেওয়ান মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। আজ সোমবার বিকেলে সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে

সাভারে মনোনয়নপত্র জমা দিতে এসে আচরণবিধি লঙ্ঘন করলেন একাধিক প্রার্থী

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষ দিনে ঢাকার সাভারে একাধিক প্রার্থী নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন। সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় ও কার্যালয়ের বাইরে আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন তাঁরা।

আজ সোমবার ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষ দিনে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সাভার উপজেলা পরিষদে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ইউএনওর কার্যালয়ে বিভিন্ন সময়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে আসেন প্রার্থীরা।

বেলা পৌনে তিনটার দিকে উপজেলা চত্বরে দলীয় লোকজন নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে আসেন বিএনপির মনোনীত প্রার্থী দেওয়ান মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। তিনি উপজেলা চত্বরে প্রবেশের আগমুহূর্তে সেখানে মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে স্লোগান দিতে দিতে প্রবেশ করেন ঢাকা জেলা ছাত্রদলের (উত্তর) নেতা–কর্মীরা। দেওয়ান মোহাম্মদ সালাউদ্দিন উপজেলা পরিষদ চত্বরে প্রবেশের পর সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে অবস্থানরত দুই শতাধিক নেতা-কর্মী তাঁকে স্বাগত জানান। পরে উপস্থিত নেতা-কর্মীরা উপজেলা চত্বরের বিভিন্ন স্থানে পৃথকভাবে দলবদ্ধ হয়ে ছবি তোলেন। বিকেল চারটার দিকে তিনি সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কক্ষে গিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে অন্তত ১০ জন নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী মাওলানা আফজাল হোসেন মনোনয়নপত্র জমা দেন। তাঁর সঙ্গেও অন্তত আটজন নেতা-কর্মী ছিলেন। এ ছাড়া বেলা দুইটার পর থেকে বিভিন্ন সময়ে গণ অধিকার পরিষদ, জাতীয় পার্টি ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থীরা আচরণবিধি লঙ্ঘন করে পাঁচজনের বেশি লোক নিয়ে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।

সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও ঢাকা-১৯ আসনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দেওয়ার সময় পাঁচজনের বেশি লোক থাকতে পারবে না। সে অনুযায়ী মনোনয়নপত্র জমা দিতে পাঁচজনই এসেছিলেন। শুনেছি, উপজেলা চত্বরে অনেক লোক এসেছিলেন। কিন্তু তাঁরা আমার কার্যালয়ে প্রবেশ করেননি। মনোনয়নপত্র জমা নেওয়ার সময় ব্যস্ত থাকায় বাইরের বিষয়টি সেভাবে লক্ষ করা হয়নি। আগামীতে সব প্রার্থীকে আচরণবিধি লঙ্ঘন না করার বিষয়ে সতর্ক করে দেওয়া হবে।’