
নেত্রকোনার কেন্দুয়া ও নীলফামারী শহরে পুকুরে ডুবে চার শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার দুপুর ১২টার দিকে কেন্দুয়ার গণ্ডা ইউনিয়নের কালিয়ান গ্রামে দুই শিশু মারা যায় এবং বেলা আড়াইটার দিকে নীলফামারীতে পুকুরে গোসল করার সময় ডুবে আরও দুই শিশুর মৃত্যু হয়।
কেন্দুয়ায় মারা যাওয়া দুই শিশু হলো শাহাদাৎ ওরফে চাঁদ (৭) ও তাসফিয়া আক্তার (৭)। তারা সম্পর্কে খালাতো ভাই–বোন। শাহাদাৎ উপজেলার কালিয়ান গ্রামের ফেরদৌস মিয়ার ছেলে এবং তাসফিয়া একই উপজেলার শিবপুর গ্রামের সাখাওয়াত হোসেনের মেয়ে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দুপুর ১২টার দিকে কালিয়ান গ্রামের ফেরদৌস মিয়ার বাড়ির পাশে শাহাদাৎ, তাসফিয়াসহ তিন শিশু খেলছিল। একপর্যায়ে শাহাদাৎ ও তাসফিয়া পাশের পুকুরে নেমে ডুবে যায়। এ দৃশ্য দেখে সঙ্গে থাকা আরেক শিশু দৌড়ে বাড়ি গিয়ে খবর দেয়। পরে পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় লোকজন ডুবে যাওয়া দুই শিশুকে উদ্ধার করে কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শিশুদের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
নীলফামারীতে পুকুরের পানিতে ডুবে মৃত দুই শিশুর নাম সাফরিন জান্নাত (৭) ও তানহা আক্তার (৭)। আজ বেলা আড়াইটার দিকে নীলফামারী সরকারি কলেজের পুকুরে গোসল করতে নেমে ডুবে তাদের মৃত্যু হয়। তারা স্থানীয় একটি স্কুলে নার্সারিতে পড়ত।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সাফরিন ও তানহা পুকুরের পানিতে তলিয়ে গেলে তাদের সঙ্গে থাকা সাফরিনের ছোট ভাই আলফি রহমান বাড়ি গিয়ে জানায়। পরে পরিবারের সদস্যরা ছুটে এসে ডুবে যাওয়া দুই শিশুকে উদ্ধার করে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত সাফরিন জান্নাত সোনালী ব্যাংকের নীলফামারী শাখার সিনিয়র অফিসার মো. মতিউর রহমানের মেয়ে। তাদের বাড়ি জেলা সদরের চাপড়া সরমজানি ইউনিয়নের বাবড়িঝাড় গ্রামে। তানহা আক্তার কুন্দপুকুর ইউনিয়নের পাটকামুরী গ্রামের ব্যবসায়ী জহিরুল ইসলামের মেয়ে। তারা নীলফামারী কলেজ স্টেশন সড়কে পাশাপাশি বাসায় ভাড়ায় থাকে।
নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক নিহার রঞ্জন বলেন, দুই শিশুকে বেলা পৌনে তিনটার দিকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়।
নীলফামারী সদর থানার ওসি এম আর সাঈদ বলেন, দুই শিশুর লাশ দাফনের জন্য পরিবারের সদস্যরা গ্রামে চলে গেছেন। এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।