গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজের আগুনে এক দম্পতি ও তাঁদের তিন মেয়ে দগ্ধ হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার সকালে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার কাঁচপুর বিসিক শিল্প এলাকায়
গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজের আগুনে এক দম্পতি ও তাঁদের তিন মেয়ে দগ্ধ হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার সকালে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার কাঁচপুর বিসিক শিল্প এলাকায়

সোনারগাঁয়ে গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজের আগুনে একই পরিবারের পাঁচজন দগ্ধ

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলায় গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজের আগুনে নারী ও শিশুসহ একই পরিবারের অন্তত ৫ জন দগ্ধ হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার ভোর ৫টার দিকে কাঁচপুর বিসিক শিল্প এলাকার একটি তিনতলা ভবনের নিচতলার একটি কক্ষে এই ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন মানব চৌধুরী (৪০), তাঁর স্ত্রী বাছা চৌধুরী (৩৮), মেয়ে তিন্নি চৌধুরী (১২), মুন্নি চৌধুরী (১৪) ও মৌরি চৌধুরী (৬)। তাঁদের রাজধানীর জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্ল্যাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।

আজ সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের কাঁচপুর স্টেশনের জ্যেষ্ঠ স্টেশন অফিসার জাহাঙ্গীর আলম। পরে তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, ঘরটির শোবার কক্ষেই সিলিন্ডার গ্যাস থেকে রান্না করা হয়। নিচতলায় ঘর হওয়ায় চুরির ভয়ে হয়তো রাতে দরজা-জানালা বন্ধ ছিল। তখন সিলিন্ডারের লাইনের লিকেজ থেকে ঘরে গ্যাস জমে চেম্বারের মতো হয়ে যায়। ভোরে কোনো এক উৎস থেকে আগুনে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্ল্যাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আবাসিক সার্জন শাওন বিন রহমান জানান, দগ্ধদের মধ্যে মানবের শরীরের ৭০ শতাংশ, তাঁর স্ত্রীর ৪৫ শতাংশ, মেয়ে তিন্নির ২২ শতাংশ, মুন্নির ২৮ শতাংশ ও মৌরির ৩৬ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।

মানব চৌধুরীর প্রতিবেশী সবিনয় দাস বলেন, মানব ওষুধ কোম্পানিতে নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে চাকরি করেন। তিনি পরিবার নিয়ে বাড়িটির নিচতলায় একটি কক্ষে ভাড়া থাকেন। সেই কক্ষেই রান্নাঘর ও বাথরুম। ভোরে হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণ শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে গিয়ে দেখেন রুমের ভেতর তারা দগ্ধ অবস্থায় চিৎকার করছেন। পরে গাড়ির ব্যবস্থা করে তিনি দগ্ধদের হাসপাতালে নিয়ে যান।

এর আগে গত ২৩ আগস্ট ঘটনাস্থলের কাছাকাছি সিদ্ধিরগঞ্জের পাইনাদী পূর্বপাড়া এলাকার একটি টিনশেডের ঘরে গ্যাসের আগুনে দুই পরিবারের ৯ জন দগ্ধ হন। ওই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৭ জন মারা গেছেন।