নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের একলাশপুর ইউনিয়নে বিএনপির বৈঠকে হামলা-ভাঙচুর চালায় একদল যুবক। আজ বিকেলে
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের একলাশপুর ইউনিয়নে বিএনপির বৈঠকে হামলা-ভাঙচুর চালায় একদল যুবক। আজ বিকেলে

নোয়াখালীতে হামলা-ভাঙচুরে পণ্ড বিএনপির দলীয় বৈঠক, আহত ১

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় অভ্যন্তরীণ বিরোধের জেরে হামলা-ভাঙচুরে পণ্ড হয়ে গেছে বিএনপির নির্বাচনী কমিটি গঠনের প্রস্তুতির বৈঠক। আজ সোমবার বিকেলে উপজেলার একলাশপুর ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা মাঠে ওই হামলার ঘটনা ঘটে। হামলাকারীরা এ সময় শতাধিক চেয়ার ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় সাইফুল ইসলাম (২৪) নামে এক যুবদল কর্মী ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত হয়েছেন।

স্থানীয় দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আজ সোমবার বিকেল চারটায় একলাশপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে নির্বাচনী কেন্দ্রগুলোর কমিটি গঠন নিয়ে প্রস্তুতি বৈঠকের আয়োজন করা হয়। বিকেল চারটার দিকে সভা শুরুর শুরু হতেই ১৫-২০ জন যুবক এসে বৈঠকস্থলে হামলা-ভাঙচুর শুরু করেন।

প্রত্যক্ষদর্শী একজন বিএনপির কর্মী নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, হামলা-ভাঙচুর দেখে বৈঠকে উপস্থিত মহিলা দলের কর্মীসহ নারীরা ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েন। তাঁরা দিগ্‌বিদিক ছোটাছুটি করতে থাকেন। হামলাকারীরা এ সময় সেখানে রাখা শতাধিক চেয়ার ভাঙচুর করে। এ সময় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত হন যুবদল কর্মী সাইফুল ইসলাম (২২)। তাঁকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার খবর পেয়ে বেগমগঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। তবে থানার ওসি বলছেন, তিনি বিষয়টি জানেন না।

স্থানীয় নেতা-কর্মীরা জানান, একলাশপুর ইউনিয়ন বিএনপিতে বর্তমানে কোনো কমিটি নেই। সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকই সবকিছু দেখভাল করছেন। আজকের বৈঠকটি ডেকেছেন সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহিম। তিনি বৈঠক ডাকার আগে এ বিষয়ে সাবেক সভাপতি মহিউদ্দিনের সঙ্গে পরামর্শ করেননি। এ কারণে তিনি বৈঠকে আসেননি। তাঁর পক্ষের লোকজন এসে অতর্কিতে বৈঠকস্থলে হামলা-ভাঙচুর চালিয়ে বৈঠকটি পণ্ড করে দিয়েছেন। এতে যুবদলের কর্মী সাইফুল ইসলাম ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত হয়েছেন।

ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মহিউদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, তিনি অসুস্থ হওয়ায় বৈঠকে যাননি। সাধারণ সম্পাদক বৈঠক ডেকেছেন। স্থানীয় কিছু লোক এ নিয়ে দ্বিমত প্রকাশ করেছেন। তবে তাঁর কোনো লোক বৈঠকে হামলা চালায়নি।
ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহিম বলেন, বৈঠক তিনি ডাকেননি। বৈঠক ডেকেছে ওয়ার্ড বিএনপি। তিনি এবং সাবেক সভাপতি অতিথি হিসেবে বৈঠকে আমন্ত্রিত ছিলেন। তিনি বৈঠকে গেলেও সাবেক সভাপতি যাননি। বৈঠক শুরু হতেই কিছু সন্ত্রাসী ভাঙচুর শুরু করে। এতে প্রায় ৫০-৬০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ বারি প্রথম আলোকে বলেন, ‘এমন কোনো ঘটনার কথা কেউ আমাকে জানায়নি।’