Thank you for trying Sticky AMP!!

ভাসানচর থেকে পালিয়ে আসা ৪ রোহিঙ্গা সন্দ্বীপে আটক

চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে আটক চার রোহিঙ্গা যুবক। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদে

নোয়াখালীর ভাসানচর থেকে পালিয়ে আসা চার রোহিঙ্গা যুবককে চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ থেকে আটক করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রথমে ওই চার রোহিঙ্গাকে আটক করেন মো. ওসমান নামের এক অটোরিকশাচালক। পরে তাঁদের মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানের কাছে হস্তান্তর করেন ওসমান। খবর দিলে পুলিশ এসে তাঁদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

আটক রোহিঙ্গারা হলেন আবুল হাসিম (১৭), মো. জুবায়ের (১৭), দ্বীন মোহাম্মদ (৩৭) ও জামাল (৩৫)।

অটোরিকশাচালক মো. ওসমান মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, মুছাপুর বেড়িবাঁধ এলাকা থেকে চার ব্যক্তি নিজেদের মাছ ধরার ট্রলারের শ্রমিক পরিচয় দিয়ে তাঁর অটোরিকশা ভাড়া করেন। তাঁদের ট্রলারটি নষ্ট হয়ে গেছে, ট্রলারের কিছু যন্ত্রপাতি চট্টগ্রাম থেকে আনতে হবে বলে জানিয়ে তাঁদের গুপ্তছড়া নৌঘাটে পৌঁছে দিতে বলেন। ভাড়া নির্ধারণ করা হয় ৩৫০ টাকা। কিন্তু অটোরিকশায় বসে পরস্পরের কথোপকথনে মো. ওসমানের সন্দেহ হয়। যাত্রীরা রোহিঙ্গা কি না, জানতে চাইলে, তাঁরা ঘাবড়ে যান। তখন ৩৫০ টাকার ভাড়া ৫০০ টাকা দিয়ে তাঁদের পরিচয় গোপন করার জন্য অনুরোধ করেন। পরে মো. ওসমান তাঁদের মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে যান।

মুছাপুর ইউপির চেয়ারম্যান বিষয়টি জানানোর পর পুলিশ পাঠিয়ে আটক রোহিঙ্গাদের থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে ভাসানচরের তাঁদের নিজ ক্যাম্পে পাঠানো হবে।
শহিদুল ইসলাম, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, সন্দ্বীপ থানা

মুছাপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবুল খায়ের নাদিম বলেন, ‘বেলা একটার দিকে এক অটোরিকশাচালক চার সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে আসেন। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হই, তাঁরা ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা। তাঁদের সন্দ্বীপ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।’

সন্দ্বীপ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, মুছাপুর ইউপির চেয়ারম্যান বিষয়টি জানানোর পর পুলিশ পাঠিয়ে আটক রোহিঙ্গাদের থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে ভাসানচরের তাঁদের নিজ ক্যাম্পে পাঠানো হবে বলে জানান তিনি।