
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামালপুর-৩ (মেলান্দহ-মাদারগঞ্জ) আসনে বিএনপির মনোনয়নবঞ্চিত এক নেতা ও তাঁর স্ত্রী স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
আজ বুধবার দুপুরে মাদারগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. ফায়েজুল ইসলাম (লাঞ্জু) ও তাঁর স্ত্রী সোনিয়া ইসলাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয় থেকে সমর্থকদের নিয়ে এই মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। ইউএনও সুমন চৌধুরী জানান, বিএনপির ওই নেতা ও তাঁর স্ত্রী স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
ফায়েজুল বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে এলাকায় গণসংযোগ, সভা ও উঠান বৈঠক করে আসছিলেন। তবে আসনটিতে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক সহসম্পাদক মো. মোস্তাফিজুর রহমান।
মনোনয়নপত্র সংগ্রহের পর ফায়েজুল ইসলাম বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে দলীয় রাজনীতি করে আসছি। আমাদের নেতা শহীদ জিয়া, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের প্রতি আস্থাশীল আছি। তবে দলের সিদ্ধান্তে আমি মনে করি মেলান্দহ ও মাদারগঞ্জে তৃণমূলের মতামতের প্রতিফলিত হয়নি। আমি এবং আমার স্ত্রী দুই নামে মনোনয়নপত্র নিয়েছি।’
ফায়েজুল বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, যে প্রার্থীকে ধানের শীষ প্রতীক দেওয়া হয়েছে, সেই প্রার্থী আগামী নির্বাচনে প্রথম অথবা দ্বিতীয় হতে পারবেন না। ইতিমধ্যে দুটি উপজেলার নেতা-কর্মীরা তাঁকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। ফলে তৃণমূলের মতামতের ভিত্তিতে আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি শেষ পর্যন্ত জনগণের সঙ্গে থাকব। আমি বিশ্বাস করি, আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। ফলে আমি জনগণের ভোটে বিজয়ী হব।’
ফায়েজুল ও তাঁর স্ত্রীর মনোনয়নপত্র সংগ্রহের বিষয়ে মাদারগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি মঞ্জুর কাদের খান প্রথম আলোকে বলেন, দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিলে দল অবশ্যই তাঁদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেবে। দলের সব সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে কেউ যদি নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে থেকেই যান, তারপরও ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীর নির্বাচনে কোনো প্রভাব পড়ার আশঙ্কা নেই। কারণ, দলীয় নেতা-কর্মীরা কখনোই প্রতীকের বাইরে যাবেন না।