বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে আয়োজিত গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ঢাকায় যাওয়ার পথে নড়াইলে এক কৃষক দল নেতার মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে ফরিদপুরের ভাঙা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। চিকিৎসকের ভাষ্য অনুযায়ী, স্ট্রোকের কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে নড়াইল জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। মারা যাওয়া নেতার নাম মুন্সী খায়রুজ্জামান আলম। তিনি নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক ছিলেন। তাঁর বাড়ি উপজেলার ভাটপাড়া গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের চেরাগ মুন্সির ছেলে।
দলীয় নেতা-কর্মী সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘ ১৭ বছর পর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরছেন। এ উপলক্ষে নড়াইল জেলা থেকে হাজারো নেতা-কর্মী ঢাকায় রওনা হন। বুধবার রাতে লোহাগড়া সিঅ্যান্ডবি চৌরাস্তা এলাকা থেকে লোহাগড়া উপজেলার নেতারা বাসযোগে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেন। রাত সোয়া ১১টার দিকে নড়াইল-ঢাকা মহাসড়কের ফরিদপুরের ভাঙ্গা এলাকায় পৌঁছালে মুন্সী খায়রুজ্জামান হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। দ্রুত তাঁকে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে কয়েকজন নেতা-কর্মী তাঁর মরদেহ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যান। অন্য নেতা-কর্মীরা ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা অব্যাহত রাখেন।
এ ঘটনায় শোক প্রকাশ করে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের সাক্ষী হতে ঢাকায় আসার পথে লোহাগড়া কৃষক দলের আহ্বায়ক খায়রুজ্জামানের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর মৃত্যুতে নড়াইল জেলা বিএনপি একজন নিবেদিতপ্রাণ কর্মীকে হারিয়েছে। তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের সাক্ষী হতে পারলেন না তিনি। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমাদের স্নেহের ছোট ভাইকে জান্নাত নসিব করুন।’
দলীয় সূত্রে আরও জানা গেছে, জেলার তিনটি উপজেলা থেকে অন্তত ২০ হাজার নেতা-কর্মী বাস, মাইক্রোবাস, ব্যক্তিগত গাড়ি ও ট্রেনে করে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন।