
চট্টগ্রামের পটিয়ায় প্রবাল এক্সপ্রেস ট্রেনের দরজা থেকে ছিটকে পড়ে ওসমান গণি (২০) নামের এক মাদ্রাসাশিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। তিনি সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলার ফজর আলীর ছেলে এবং এবার আলিম পরীক্ষার্থী ছিলেন।
ঘটনাটি ঘটেছে আজ বৃহস্পতিবার বেলা প্রায় তিনটার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইনের পটিয়ার ধলঘাট স্টেশন এলাকায়। তাঁর সঙ্গে থাকা সহকর্মী দরগাহপুর ছিদ্দিকীয়া আলিম মাদ্রাসার শিক্ষক নাজমুল হুদা প্রথম আলোকে বলেন, সাতক্ষীরা মাদ্রাসা কোচিং সেন্টার থেকে তাঁরা পাঁচজন শিক্ষক ১৩ মে কক্সবাজার বেড়াতে যান। ওসমান গণিও ওই কোচিং সেন্টারের শিক্ষক। বেড়ানো শেষে আজ বেলা ১১টার প্রবাল এক্সপ্রেসে করে তারা সাতক্ষীরার উদ্দেশে চট্টগ্রামে ফিরছিলেন। এ সময় ওসমান গণি বাথরুমে যাওয়ার কথা বলে ট্রেনের দরজার পাশে বসেন। সেখান থেকে পড়ে যান তিনি।
দুর্ঘটনার শিকার শিক্ষার্থীর সঙ্গীরা জানান, ট্রেনের দরজায় গিয়ে বসে ছিলেন ওসমান গণি। কিন্তু একপর্যায়ে তাঁকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। এ সময় বেঙ্গুরা নামের একটি স্টেশন পার হলে ট্রেনের গতি কমে যায়। তখন বাকি চারজন ট্রেন থেকে দ্রুত নেমে রেললাইন ধরে পটিয়ার দিকে হেঁটে আসতে থাকেন। এ সময় প্রায় তিন কিলোমিটার পথ হাঁটার পর ধলঘাট স্টেশনের পাশে ওসমান গণিকে মুমূর্ষু অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। সেখান থেকে তাঁরা তাঁকে উদ্ধার করে পটিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসার পর জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকেরা জানান, মাথায় আঘাত পেয়ে ওই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। শরীরে আর কোথাও তেমন জখমের চিহ্ন নেই। এ ব্যাপারে পটিয়া থানা-পুলিশকে জানানো হয়েছে।
পটিয়া রেলওয়ের স্টেশনমাস্টার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তাঁরা বেড়াতে গিয়েছিলেন। ফেরার পথে পটিয়া-ধলঘাট পয়েন্টে ওই তরুণ ট্রেনের দরজা থেকে পড়ে গুরুতর আহত হন। পরে তাঁকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ব্যাপারে তিনি চট্টগ্রাম জিআরপি থানাকে জানিয়েছেন।