নারায়ণগঞ্জে কদম রসুল সেতুর পশ্চিমাংশে সংযোগ সড়কের প্রবেশমুখ পরিবর্তনের দাবি

প্রস্তাবিত কদম রসুল সেতুর পশ্চিমাংশের সংযোগ সড়কের প্রবেশমুখ পরিবর্তনের দাবিতে এলাকাবাসী ও ব্যবসায়ীদের মানববন্ধন। বুধবার সকালে নারায়ণগঞ্জ শহরের কালীর বাজারে
ছবি: প্রথম আলো

শীতলক্ষ্যা নদীর দুই তীরকে সংযুক্ত করতে প্রস্তাবিত কদম রসুল সেতুর পশ্চিমাংশের সংযোগ সড়কের প্রবেশমুখ পরিবর্তনের দাবিতে নারায়ণগঞ্জে মানববন্ধন হয়েছে। আজ বুধবার সকালে শহরের কালীর বাজার এলাকায় ‘বৃহত্তর কালীর বাজার ব্যবসায়ী–শিক্ষা ও ধর্মীয় ১৩টি প্রতিষ্ঠান’–এর ব্যানারে এ মানববন্ধনে ব্যবসায়ী, এলাকাবাসী, শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন কালীর বাজারের ব্যবসায়ী নাজির খান এবং সঞ্চালনা করেন রবিন হোসেন। এতে বক্তব্য দেন নারায়ণগঞ্জ নাগরিক আন্দোলনের আহ্বায়ক রফিউর রাব্বি, নাগরিক কমিটির সভাপতি এ বি সিদ্দিক, ব্যবসায়ী আকবর হোসেন, তানভীর হোসেন প্রমুখ।

রফিউর রাব্বি বলেন, যথাযথ সমীক্ষা না করে অপরিকল্পিত নকশায় সেতুর পশ্চিমাংশের প্রবেশমুখ নারায়ণগঞ্জ কলেজের সামনে নির্ধারণ করা হয়েছে। এভাবে সেতু নির্মিত হলে যানজটে পুরো এলাকা অকেজো হয়ে পড়বে। আগে একটি নকশায় সেতুটি ঘুরে ৫ নম্বর ঘাটে নামার কথা ছিল। সেটি বাদ দিয়ে এখনকার নকশা বাস্তবায়িত হলে মানুষের দুর্ভোগ ভয়াবহভাবে বৃদ্ধি পাবে। তিনি আরও বলেন, ‘বন্দরবাসীর সঙ্গে আমাদের কোনো বিরোধ নেই, তবে এই অপরিকল্পিত নকশা পশ্চিম ও পূর্বপাড়—দুই দিকের মানুষের জন্যই দুর্ভোগ ডেকে আনবে। আবেগ দিয়ে নয়, যুক্তি দিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, নইলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম এর খেসারত দেবে।’

সমাবেশে সাইফুল ইসলাম, মোতালেব হোসেন, শফিউদ্দিন আহমেদ, শাহজাহান, আবদুর কাদের, সমীর চন্দ্র চক্রবর্তী, জুয়েল হোসেন, মোহাম্মদ সুমন, অয়ন আহমেদসহ স্থানীয় ব্যবসায়ী ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। মানববন্ধনে বক্তারা দ্রুত নকশা পরিবর্তনের দাবি জানান এবং তা না মানা হলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন।

অন্য বক্তারা বলেন, ১ নম্বর রেলগেট থেকে কালীর বাজার পর্যন্ত প্রতিনিয়ত যানজট লেগে থাকে। এখানে দুর্ঘটনা ঘটলে ফায়ার সার্ভিস বা অ্যাম্বুলেন্সও প্রবেশ করতে পারবে না। উপরন্তু ফলপট্টি এলাকা, নারায়ণগঞ্জ হাইস্কুল, নারায়ণগঞ্জ কলেজ, কালীর বাজার ও দিগুবাবু বাজারসহ শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলো এ সড়কের সঙ্গে যুক্ত। ফলে স্বাভাবিক সময়েই ব্যবসা ও চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এর সঙ্গে সেতুর প্রবেশমুখ যুক্ত হলে তা ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি করবে।