নড়াইলের কালিয়া উপজেলায় বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) ‘গণতন্ত্র অভিযাত্রা’ কর্মসূচিতে নেতা–কর্মীরা। সোমবার বিকেলে উপজেলার খাশিয়াল এলাকায়
নড়াইলের কালিয়া উপজেলায় বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) ‘গণতন্ত্র অভিযাত্রা’ কর্মসূচিতে নেতা–কর্মীরা। সোমবার বিকেলে উপজেলার খাশিয়াল এলাকায়

নড়াইলে সিপিবির ‘গণতন্ত্র অভিযাত্রা’

নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে লাগাম ও জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে সাধারণ মানুষের প্রকৃত আয় কমে গিয়েছিল। বেকারত্ব বেড়ে চলেছিল। এই ধারা এখনো অব্যাহত রয়েছে। উপরন্তু কৃষকের উৎপাদন খরচ বেড়ে গেলেও তাঁরা ফসলের প্রকৃত দাম পাচ্ছেন না। এই পরিস্থিতিতে নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে লাগাম টানার পাশাপাশি সারা দেশে মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) দেশব্যাপী ‘গণতন্ত্র অভিযাত্রা’র শেষ দিনে সোমবার বিকেলে নড়াইলের কালিয়া উপজেলায় পদযাত্রা ও গণসংযোগ কর্মসূচিতে বক্তারা এসব কথা বলেন। উপজেলার নড়াগাতী থানার খাশিয়াল বাজার থেকে বড়দিয়া বাজার পর্যন্ত এ পদযাত্রা ও গণসংযোগ করে সিপিবি।

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, জানমালের নিরাপত্তা, চাঁদাবাজি-দখলদারত্ব-দুর্নীতি বন্ধ এবং জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণার দাবিতে দেশব্যাপী ‘গণতন্ত্র অভিযাত্রা’ কর্মসূচি পালন করেছে সিপিবি।

কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন সিপিবির কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য অনিরুদ্ধ দাস অঞ্জন, নড়াইল জেলা সভাপতি ও খাশিয়াল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বি এম বরকত উল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক অঞ্জন রায়, হকার্স ইউনিয়নের নেতা সেকেন্দার হায়াত, সিপিবি বড়দিয়া শাখার সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, নড়াইল জেলা শাখার সদস্য সঞ্জিত রাজবংশী, প্রবীর রায়, শেখ সুলতান, আদুস সাত্তার প্রমুখ।

অনিরুদ্ধ দাস বলেন, ‘জনগণের যে আশা-আকাঙ্ক্ষা ছিল, তা কেন পূরণ হচ্ছে না আমাদের বুঝতে হবে। স্বৈরাচারের পতন হলেই আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয় না, যদি না আমরা সেই ফ্যাসিস্ট ব্যবস্থার উচ্ছেদ ঘটাতে না পারি। ফ্যাসিস্ট শাসনকেই আমাদের উপড়ে ফেলতে হবে। না হলে নতুন নতুন ফ্যাসিবাদের জন্ম হবে।’

বি এম বরকত উল্লাহ বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে স্বৈরাচারের বিদায় হলো। কিন্তু আমরা দেখছি, নতুন করে বৈষম্যের সৃষ্টি হচ্ছে। পাহাড়ি জুম্ম জাতির ওপর হামলা হয়েছে। মাজারের ওপর হামলা হয়, তার কোনো বিচার হয় না। মন্দিরে হামলা হয়, জোরালো কোনো ব্যবস্থা হয় না।’

বক্তারা আরও বলেন, ভ্যাট বৃদ্ধির নামে আরেক দফা নিত্যপণ্যের দামবৃদ্ধিতে জনজীবন অতিষ্ঠ হবে। শুধু মূল্যবৃদ্ধি রোধ নয়, সারা দেশে সব মানুষের জানমালের নিরাপত্তাও এখন পর্যন্ত নিশ্চিত করা যায়নি। চাঁদাবাজি, দুর্নীতি, দখলদারত্ব ও পাল্টা দখলদারত্ব চলছে বিভিন্ন জায়গায়।