সাবেক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন
সাবেক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন

কুড়িগ্রামে সাবেক প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন ও তিন সাংবাদিকের নামে ছিনতাই মামলা, গ্রেপ্তার ৩

কুড়িগ্রাম-৪ (রৌমারী, চর রাজীবপুর ও চিলমারী) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন এবং তিন সাংবাদিকের নামে ছিনতাই মামলা হয়েছে। গত শনিবার চর রাজীবপুর উপজেলার কোদালকাটি ইউনিয়নের চরসাজাই গ্রামের বাসিন্দা বেলাল হোসেন বাদী হয়ে রৌমারী থানায় মামলাটি করেন। মামলায় ৩০ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ১০০ থেকে ১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার পর গতকাল রোববার তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। তাঁরা হলেন মো. শামীম হোসেন, মিস্টার ইয়াং ও বুকুল হোসেন। তাঁরা সাবেক প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেনের অনুসারী ও রৌমারী উপজেলার বাসিন্দা। এজাহারনামীয় তিন সাংবাদিক হলেন দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকার রৌমারী উপজেলা প্রতিনিধি সুজাউল ইসলাম সুজা, দৈনিক দিনকাল পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি শাহারিয়ার নাজিম ও সাংবাদিক শাকিল আহাম্মেদ।

আজ সোমবার রৌমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. লুৎফর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, মামলার তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী মো. আজিজুর রহমানের পক্ষে মাইকে প্রচার চালান চর রাজীবপুর উপজেলার কোদালকাটি ইউনিয়নের চরসাজাই গ্রামের বেলাল হোসেন। একই বছরের ২০ ডিসেম্বর বেলা দুইটার দিকে রৌমারী উপজেলার বেহুলারচরে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. জাকির হোসেনের পক্ষের কয়েকজন কর্মী তাঁদের পথ রোধে নির্বাচনী প্রচার বন্ধ করে দিয়ে মারধর করেন, মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেন এবং তাঁদের ব্যবহৃত মুঠোফোন, টাকাসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছিনিয়ে নেন। তাঁরা আহত হয়ে পড়লে স্থানীয় লোকজন রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। তবে সাবেক প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনের নির্দেশে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তাঁদের চিকিৎসা দেওয়া হয়নি। পরে উপজেলার একটি প্রাইভেট হাসপাতাল থেকে তাঁরা চিকিৎসা নেন।

এ ঘটনায় এত দিন মামলা করতে পারেননি বেলাল হোসেন। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ওই ঘটনার বিচারের আশায় তিনি রৌমারী থানায় ছিনতাই মামলাটি করেছেন।