গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে আওয়ামী লীগ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে স্থানীয় ১০ নেতার সংবাদ সম্মেলন। শনিবার বিকেলে উপজেলার দক্ষিণ জলিরপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে আওয়ামী লীগ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে স্থানীয় ১০ নেতার সংবাদ সম্মেলন। শনিবার বিকেলে উপজেলার দক্ষিণ জলিরপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে

গোপালগঞ্জে আওয়ামী লীগ থেকে ১৩ নেতার পদত্যাগের ঘোষণা

গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর ও টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ১৩ জন নেতা পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। শনিবার বিকেলে মুকসুদপুর উপজেলার দক্ষিণ জলিরপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে ও দুপুরে টুঙ্গিপাড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে তাঁরা এ ঘোষণা দেন। এর মধ্যে মুকসুদপুরে ১০ জন ও টুঙ্গিপাড়ায় ৩ জন পদত্যাগ করেন।

মুকসুদপুরে পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়া নেতারা হলেন জলিরপাড় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক সাগর বাগচী, ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি রুহুল আমীন শেখ, ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অভি বাগচী, বিদ্যুৎ বাগচী, সাধারণ সম্পাদক নরেশ গোলদার, সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক শ্যামল বাগচী, সদস্য শিশির বাগচী, হরিচাঁদ বাগচী, নারায়ণ গোলদার, রঞ্জন গাইন।

শনিবার বিকেলে মুকসুদপুরের দক্ষিণ জলিরপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সাগর বাগচী। তিনি বলেন, ‘আজ থেকে আমরা সবাই একযোগে আওয়ামী লীগের সব পদ-পদবি ও কর্মকাণ্ড থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগের ঘোষণা দিলাম। এখন থেকে আওয়ামী লীগের কোনো পদ ও কার্যক্রমের সঙ্গে কোনোভাবেই সম্পৃক্ততা থাকব না‌।’

অন্যদিকে বেলা একটায় টুঙ্গিপাড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে পদত্যাগের ঘোষণা দেন উপজেলা কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিম শরীফ,‌ পৌর যুবলীগের সহসভাপতি আরিফুল হোসেন, পৌর আওয়ামী লীগের সদস্য আবুল কালাম আজাদ।

সংবাদ সম্মেলনে তাঁরা বলেন, ব্যক্তিগত কারণ, রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও সাংগঠনিক নানা জটিলতার কারণে তাঁরা দলীয় পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। দলের প্রতি তাঁদের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা আগের মতোই আছে। তবে তাঁরা এখন কোনো পদে থাকতে চান না।

সেলিম শরীফ বলেন, ‘আমাকে উপজেলা কৃষক লীগে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল, যা সম্পর্কে আমি অবগত ছিলাম না।’ আরিফুল হোসেন বলেন, বিগত সরকারের আমলে তাঁকে পৌর যুবলীগের সহসভাপতি করা হলেও তিনি কোনো সাংগঠনিক কার্যক্রমে সক্রিয় ছিলেন না। আর আবুল কালাম আজাদ বলেন, তিনি পদ পাওয়ার বিষয়টি জানতেন না।