গ্রেপ্তার মো. জহুরুল মোল্লাকে আদালতে নেওয়া হচ্ছে। আজ মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পাবনা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে
গ্রেপ্তার মো. জহুরুল মোল্লাকে আদালতে নেওয়া হচ্ছে। আজ মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পাবনা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে

ঈশ্বরদীতে বিএনপি নেতাকে হত্যা

প্রধান আসামি গ্রেপ্তার, অস্ত্র উদ্ধার

পাবনার ঈশ্বরদীতে বিএনপির নেতা বীরু মোল্লাকে (৬৫) গুলি করে হত্যার ঘটনার প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার র‌্যাব তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশে সোপর্দ করে। তাঁর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী পুলিশ রাতে অস্ত্র উদ্ধার করেছে।

১৭ ডিসেম্বরের এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ১৮ ডিসেম্বর বীরু মোল্লার ছেলে রাজীব আহম্মেদ ঈশ্বরদী থানায় চারজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।

গ্রেপ্তার মো. জহুরুল মোল্লার (৫২) বাড়ি ঈশ্বরদী উপজেলার লক্ষ্মীকুণ্ডা ইউনিয়নের কামালপুর গ্রামে। তিনি নিহত বীরু মোল্লার চাচাতো ভাই।

পুলিশের দাবি, পারিবারিক জমি নিয়ে বিরোধে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জহুরুল মোল্লা হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে পাবনা পুলিশ সুপারের সম্মেলনকক্ষে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মশিউর রহমান সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান।

মো. মশিউর রহমান বলেন, র‌্যাব-১২ পাবনা ক্যাম্পের সদস্যরা সিরাজগঞ্জ জেলার সলঙ্গা থানার রঘুনাথপুর গ্রাম থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি হত্যার কথা স্বীকার ও অস্ত্রের সন্ধান দেন। পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার লক্ষ্মীকুণ্ডা ইউনিয়নের সাহাপাড়া গ্রামের একটি ইটভাটা থেকে হত্যায় ব্যবহৃত একটি ওয়ান শুটারগান, একটি রিভলবার, ৫টি শুটার গানের গুলি ও ২৬টি রিভলবারের গুলি উদ্ধার করা হয়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মশিউর রহমান বলেন, আজ মঙ্গলবার বিকেলে তাঁকে আদালতে হাজির করা হবে। এ ঘটনায় করা মামলায় আরও তিন আসামিকে ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে।

প্রসঙ্গত, নিহত বীরু মোল্লার বাড়ি কামালপুর গ্রামে। তিনি লক্ষ্মীকুণ্ডা ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক ছিলেন। বেশ কিছুদিন ধরে পারিবারিক জমি নিয়ে চাচাতো ভাই জহুরুল মোল্লার সঙ্গে তাঁর বিরোধ চলছিল। ১৬ ডিসেম্বর রাতে বিরোধপূর্ণ একটি জমি থেকে মাটি কেটে ইটভাটায় নেন জহুরুল মোল্লা। বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে ১৭ ডিসেম্বর সকালে বীরু মোল্লা লোকজন নিয়ে জহুরুল মোল্লার বাড়িতে যান। কথা বলার একপর্যায়ে দুজনের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। এ সময় জহুরুল মোল্লা ও তাঁর ছেলে ঘর থেকে অস্ত্র বের করে ফাঁকা গুলি ছোড়েন এবং তাঁদের চলে যেতে বলেন। একপর্যায়ে তাঁরা বীরু মোল্লাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। এতে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে বীরু মোল্লা গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।