শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর মানবন্ধন। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে কুমিল্লার হোমনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবনসংলগ্ন এলাকায়
শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর মানবন্ধন। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে কুমিল্লার হোমনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবনসংলগ্ন এলাকায়

হোমনায় সড়কে সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন

কুমিল্লার হোমনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়সংলগ্ন সড়ক সীমানাপ্রাচীর দিয়ে বন্ধ করার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন তিনটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী। আজ বৃহস্পতিবার বেলা দেড়টা থেকে বিকেল সাড়ে চারটা পর্যন্ত তিন ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজ বৃহস্পতিবার থেকে সীমানাপ্রাচীরের কাজ বন্ধ রাখার আশ্বাস দিলে আন্দোলনকারীরা বিকেলে মানববন্ধন কর্মসূচি স্থগিত করেন। তাঁরা সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ স্থায়ীভাবে বন্ধের দাবি জানান। তা না হলে আগামী রোববার থেকে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন।

মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন, শত বছরের পুরোনো এ সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে জনসাধারণ ও শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছে। উপজেলা প্রশাসন হঠাৎ এ সড়কটি বন্ধের উদ্যোগ নিয়েছে, যা বাস্তবায়িত হলে তিনটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আড়াই হাজার শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ মারাত্মক দুর্ভোগে পড়বেন। জরুরি প্রয়োজনে রোগী নেওয়া, অগ্নিকাণ্ড বা মৃত্যুর পর লাশ বহন—সব ক্ষেত্রেই বাধার সৃষ্টি হবে।

বক্তাদের মধ্যে ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক নেতা আশরাফ উদ্দিন, নাঈম হোসেন, মো. ইউনুস, হোমনা আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইয়ামিন প্রমুখ। তাঁরা জানান, সড়কটি বিএস খতিয়ানে জনসাধারণের চলাচলের জন্য নির্ধারিত। এখন সেই সড়ক বন্ধের উদ্যোগ জনস্বার্থবিরোধী।

হোমনা আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ লুৎফর রহমান, খাদিজা মেমোরিয়াল বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নজরুল ইসলাম, হোমনা আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হালিমা বেগম গতকাল বুধবার প্রাচীর নির্মাণ বন্ধের দাবিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত আবেদন দিয়েছেন।

এ প্রসঙ্গে হোমনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ক্ষেমলিকা চাকমা প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর আবাসিক ভবনের নিচ দিয়ে মানুষ চলাচলের কারণে নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে। এ কারণেই সীমানাপ্রাচীর নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। তবে বিকল্প সড়ক তৈরির প্রস্তাব দেওয়া হলেও আন্দোলনকারীরা তা মানছেন না। তাঁর অভিযোগ, কোমলমতি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে ব্যবহার করা হচ্ছে।