কিশোরগঞ্জ-৫ (বাজিতপুর-নিকলী) আসনে বিএনপির প্রার্থীর দাবিতে একাধিক স্থানে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন দলের একাংশের নেতা-কর্মীরা। শনিবার বেলা ১১টা থেকে একযোগে বাজিতপুরের বটতলা মোড় থেকে পার্শ্ববর্তী উপজেলা নিকলী বাজারের শহীদ স্মরণিকা বালিকা উচ্চবিদ্যালয় মোড় পর্যন্ত একাধিক স্থানে মানববন্ধন হয়
কিশোরগঞ্জ-৫ (বাজিতপুর-নিকলী) আসনে বিএনপির প্রার্থীর দাবিতে একাধিক স্থানে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন দলের একাংশের নেতা-কর্মীরা। শনিবার বেলা ১১টা থেকে একযোগে বাজিতপুরের বটতলা মোড় থেকে পার্শ্ববর্তী উপজেলা নিকলী বাজারের শহীদ স্মরণিকা বালিকা উচ্চবিদ্যালয় মোড় পর্যন্ত একাধিক স্থানে মানববন্ধন হয়

কিশোরগঞ্জ-৫ আসনে বিএনপির প্রার্থী চেয়ে দীর্ঘ মানববন্ধন

কিশোরগঞ্জ-৫ (বাজিতপুর-নিকলী) আসনে বিএনপির প্রার্থী চেয়ে একাধিক স্থানে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন দলের একাংশের নেতা-কর্মীরা। আজ শনিবার বেলা ১১টা থেকে একযোগে বাজিতপুরের বটতলা মোড় থেকে পার্শ্ববর্তী উপজেলা নিকলী বাজারের শহীদ স্মরণিকা বালিকা উচ্চবিদ্যালয় মোড় পর্যন্ত একটু পরপর মানববন্ধন দেখা যায়। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ কর্মসূচি শেষ হয়।

মানববন্ধনে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের উপজেলা, পৌরসভা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা অংশগ্রহণ করেন। মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী নেতা-কর্মীরা বাজিতপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ মুজিবুর রহমানের (ইকবাল) অনুসারী।

নিকলী, সরারচর ও বাজিতপুর বাজারের একাধিক স্থানে সরেজমিনে দেখা যায়, বাজিতপুর থেকে নিকলী পর্যন্ত ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কের পাশে একাধিক স্থানে মানববন্ধন চলছে। সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতা-কর্মীদের একাংশের উদ্যোগে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

মানববন্ধনে বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষ অংশগ্রহণ করেন। সরারচর এলাকায় মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করা মো. আলম মিয়া নামে স্থানীয় এক বিএনপি কর্মী বলেন, ‘বাজিতপুর-নিকলীর রাজনীতিতে বিএনপির দুর্দিনে মুজিবুর রহমান ইকবাল নেতা-কর্মীদের পাশে ছিলেন। তাই আমরা এ আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে তাঁকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জানাই।’

বাজিতপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘তৃণমূলের কর্মীরা এখানে শেখ মুজিবুর রহমান ইকবালকে চান। কেন্দ্রীয় নেতাদের নজরে বিষয়টি আনার জন্য আমরা প্রায় ২২ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে মানববন্ধন করেছি।’

৩ নভেম্বর জাতীয় সংসদের ২৩৭ আসনে প্রাথমিক প্রার্থী ঘোষণা করে বিএনপি। এর মধ্যে কিশোরগঞ্জে ছয়টি আসনের মধ্যে চারটিতে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়। এখনো প্রার্থী দেওয়া হয়নি কিশোরগঞ্জ–১ ও কিশোরগঞ্জ–৫ আসনে। গুঞ্জন আছে, আসন দুটি বিএনপি তাদের মিত্রদের জন্য ছেড়ে দিতে পারে। তবে বিষয়টি মানতে নারাজ স্থানীয় বিএনপির বড় একটা অংশ।

বিএনপির স্থানীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কিশোরগঞ্জ–৫ আসনে মুজিবুর রহমান ছাড়াও আসনটিতে কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য জিএস মীর জলিল, বাজিতপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র এহসান কুফিয়া, সাবেক সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল ওয়াহাব, নিকলী উপজেলা বিএনপির সভাপতি বদরুল মোমেন (মিঠু), কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সহসাধারণ সম্পাদক মো. মাসুক মিয়া, বাজিতপুর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান (মামুন) নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে আসছেন।

আজকের মানববন্ধন নিয়ে শেখ মুজিবুর রহমান ইকবাল বলেন, এলাকার জনগণ তাঁকে চায়। সে জন্য তাঁর মনোনয়নের দাবিতে গত কিছুদিন ধরে মিছিল সমাবেশসহ নানা কর্মসূচি পালন করে আসছে।

আলোচনা আছে, কিশোরগঞ্জ–৫ আসনটি বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান এবং ১২–দলীয় জোটের সমন্বয়ক সৈয়দ এহসানুল হুদার জন্য ছেড়ে দিতে পারে বিএনপি। তাঁর পক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। শনিবার বিকেলেও এহসানুল হুদার পক্ষে বাজিতপুর বাজার এলাকায় মিছিল বের হয়। এই আসনে মনোনয়নের আলোচনায় রয়েছেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সভাপতি আইনজীবী হাসনাত কাইয়ুমও। আসনটিতে এখন পর্যন্ত জামায়াতে ইসলামী মনোনয়ন ঘেষণা করেছে। দলের প্রার্থী হিসেবে অনেক আগে থেকেই নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে আসছেন জেলা জামায়াতের আমির ও কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য রমজান আলী।