সহিংসতার আগুনে পুড়েছে মিবু মারমার বসতঘর ও দোকান। প্রাণ বাঁচাতে এক কাপড়ে ঘর ও পাড়া ছাড়েন তিনি। এসে দেখেন তাঁর সবকিছু ছাইয়ে পরিণত হয়েছে। সব হারিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন এই নারী। গতকাল বিকেল সাড়ে চারটায় খাগড়াছড়ির গুইমারার রামেসু বাজারে
সহিংসতার আগুনে পুড়েছে মিবু মারমার বসতঘর ও দোকান। প্রাণ বাঁচাতে এক কাপড়ে ঘর ও পাড়া ছাড়েন তিনি। এসে দেখেন তাঁর সবকিছু ছাইয়ে পরিণত হয়েছে। সব হারিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন এই নারী। গতকাল বিকেল সাড়ে চারটায় খাগড়াছড়ির গুইমারার রামেসু বাজারে

খাগড়াছড়িতে সহিংসতা

‘কিছুই নাই, সব ছাই, ছাইয়ের ভেতরে ঢুকে যেতে ইচ্ছে করছে'

আগুনে বসতবাড়ির সবটুকু পুড়ে ছাই হয়ে মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। পড়ে রয়েছে পুড়ে যাওয়া টিন। এর ভেতরে ছড়িয়ে–ছিটিয়ে আছে ভস্মীভূত নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র। উঠানে পড়ে আছে পোড়া মোটরসাইকেলের কাঠামো। রক্ষা পায়নি আয়–উপার্জনের দোকানটিও।

এ রকম বিধ্বস্ত বসতভিটার পাশে বিষণ্ন মনে বসে ছিলেন মিবু মারমা। ঘর হারানো কষ্টের কথা বলতে গিয়ে বারবার কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। তাঁর স্বামী স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের ওয়ার্ড সদস্য।

গতকাল সোমবার দুপুরের দিকে খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলার রামেসু বাজার এলাকায় দেখা যায় এ দৃশ্য। গত রোববার বিক্ষোভ ও সহিংসতার সময় আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয় মিবু মারমার বাড়ি ও খাবারের দোকান। ওই দিন সহিংসতার সময় বাজারের দোকানপাট, বসতঘর ও ভবনে আগুন দেওয়া হয়। বসতঘর ও দোকানমালিকদের অধিকাংশই পাহাড়ি। কিছু প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী বাঙালি। গতকাল সকালেও বাজারের বিভিন্ন দোকান থেকে ধোঁয়া উড়তে দেখা যায়।

আমার ঘরবাড়ি না পুড়ে, আমাকেও আগুনের মধ্যে দিয়ে দিত। তাহলে আর এত দুঃখ–কষ্ট সহ্য করতে হতো না।
মিবু মারমা

শুধু মিবু মারমার ঘর নয়, বাজারজুড়ে চারদিকে পোড়া ক্ষত। আগুনে পুড়ে যাওয়ার পরেও কিছু ঘর টিকে থাকলেও তা আর মেরামতের উপযোগী নেই। সব হারানো পাহাড়ি মানুষের অবস্থা এখন অসহায়। তাঁদের কারও চোখে জল, কারও মধ্যে রাগ–ক্ষোভ। আবার এর মধ্যে অজানা আতঙ্ক ভর করেছে পাড়াবাসীর মধ্যে।

বসতবাড়ি ও দোকান পুড়ে যাওয়ায় সামনের দিন নিয়ে অনিশ্চয়তায় আছেন মিবু মারমা। তাঁর বেদনা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে আগুন থেকে মেয়ের আদুরে বিড়ালকে রক্ষা করতে না পারার কষ্ট। তিনি বলেন, ‘কিছুই নাই, সব ছাই। ছাইয়ের ভেতরে ঢুকে যেতে ইচ্ছে করছে। ঢুকেও গিয়েছিলাম। কিন্তু স্বজনেরা আটকিয়েছিলেন। আমার ঘরবাড়ি না পুড়ে, আমাকেও আগুনের মধ্যে দিয়ে দিত। তাহলে আর এত দুঃখ–কষ্ট সহ্য করতে হতো না।’

খাগড়াছড়িতে পাহাড়ি কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে অবরোধ কর্মসূচি পালন করে পাহাড়ি সংগঠন ‘জুম্ম-ছাত্র জনতা’। এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে গত রোববার গুইমারার রামেসু বাজারে বিক্ষোভ ও সহিংসতা ঘটে। পাহাড়িদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে যুক্ত হয় স্থানীয় একটি পক্ষ।

এদিকে তিনজন নিহত এবং সহিংসতার ঘটনায় গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি বলে জানান গুইমারা থানার ওসি এনামুল হক চৌধুরী। তিনি বলেন, নিহত ব্যক্তিদের ময়নাতদন্ত এখনো সম্পন্ন হয়নি।

বিক্ষোভ ও সহিংসতা চলাকালে তিন পাহাড়ির মৃত্যু হয়। সেনাবাহিনীর মেজরসহ আহত হন অন্তত ২০ জন। এ সময় আগুনে পুড়ে যায় বাজারের দোকানপাট ও বাড়িঘর। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অন্তত ৪০টি দোকান ও ৫০টির মতো বসতঘর। এই পাড়ায় প্রায় এক হাজার লোক বাস করেন।

বিক্ষোভ ও সহিংসতার ঘটনায় তিন পাহাড়ির মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত রোববার থেকে খাগড়াছড়ি জেলা সদর ও গুইমারা উপজেলায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করে। সদর ও উপজেলায় প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করেছিল। এতে রাস্তাঘাটে গাড়ি চলাচল কার্যত বন্ধ ছিল। এসব এলাকার দোকানপাটও বন্ধ ছিল। সোমবারও একই পরিস্থিতি ছিল। গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি ছিল। অবরোধও প্রত্যাহার করেনি জুম্ম ছাত্র–জনতা।

এদিকে তিনজন নিহত এবং সহিংসতার ঘটনায় গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি বলে জানান গুইমারা থানার ওসি এনামুল হক চৌধুরী। তিনি বলেন, নিহত ব্যক্তিদের ময়নাতদন্ত এখনো সম্পন্ন হয়নি।

সোমবার সকাল থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী টহলে রয়েছে। পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল

সকালে অবস্থান, দুপুরে ফাঁকা

খাগড়াছড়িতে পাহাড়ি কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় বিক্ষোভ ও সহিংসতার কেন্দ্রে পরিণত হওয়া গুইমারা রামেসু বাজারের পরিস্থিতি গতকাল সকাল থেকে ছিল থমথমে।

অবরোধের সমর্থনকারীরা সকালে বাজারে অবস্থান নিয়েছিলেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা বাজারের প্রবেশমুখের সড়কে সতর্ক পাহারায় ছিলেন। দুই পক্ষের মাঝখানে সড়কে প্রতিবন্ধকতা দিয়েছেন অবরোধকারীরা।

তবে বেলা গড়াতেই বাজার থেকে অবরোধের সমর্থনকারীদের সরে যেতে দেখা যায়। দুপুরের পর বাজারে গিয়ে পাড়াবাসী ছাড়া কাউকে দেখা যায়নি। এর মধ্যে গুইমারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলেন। বেলা একটায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বাজারে প্রবেশ করেন। তাঁরা বাজার এলাকা পরিদর্শন করেন। আরেকটি দল বাজারের প্রবেশমুখে অবস্থান নেন।

খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল বলেন, সোমবার সকাল থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী টহলে রয়েছে। পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

এক দিন পর লাশের পরিচয় শনাক্ত

গত রোববার গুলিতে নিহত তিনজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তাঁরা সবাই খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলার বাসিন্দা। নিহত ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার সিন্দুকছড়ি ইউনিয়নের দেবলছড়ি চেয়ারম্যান পাড়ার আথুই মারমা (২১), হাফছড়ি ইউনিয়নের সাং চেং গুলিপাড়ার আথ্রাউ মারমা (২২) ও রামেসু বাজার বটতলার তৈইচিং মারমা (২০)।

খাগড়াছড়ি সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ছাবের বলেন, গত রোববার থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত আহত ১৪ জনকে সদর হাসপাতালে আনা হয়। এর মধ্যে ১৩ জন চিকিৎসাধীন, ১ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

জুম্ম ছাত্র-জনতার অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে জানানো হয়, দুপুর ১২টা থেকে চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি ও ঢাকা-খাগড়াছড়ি সড়কে অবরোধ শিথিল করা হয়েছে। জুম্ম ছাত্র-জনতার একজন মুখপাত্র প্রথম আলোকে বলেন, আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা এবং নিহত ব্যক্তিদের সৎকারের সুবিধার্থে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত দুই সড়কে অবরোধ শিথিল থাকবে।

চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আহসান হাবিব পলাশ গতকাল দুপুরে নিজ কার্যালয়ে প্রথম আলোকে বলেন, ময়নাতদন্ত শেষে তিনজনের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

নিহত ব্যক্তিরা রামেসু বাজারের নন, তবে গুইমারা উপজেলার বাসিন্দা। পেশা বা কোনো সংগঠনের সঙ্গে জড়িত কি না, বিস্তারিত জানা যায়নি। হামলাকারীদের সম্পর্কে ডিআইজি বলেন, হামলায় জড়িত মুখোশ পরা অস্ত্রধারীদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা হবে। একই সঙ্গে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান চলবে।

আমাদের পাড়ার কেউ অবরোধে অংশ নেননি। আমরা কিছুই করিনি। এরপরও বাইরে থেকে লোকজন এসে আমাদের ঘর পুড়িয়ে দিয়েছে। বই, কলম, খাতাও পুড়িয়ে ফেলেছে। এক কাপড়ে বের হয়েছি, সেভাবেই আছি এখনো।
চিয়া প্রু মারমা

সব হারিয়ে অসহায় বাসিন্দারা

পুড়িয়ে দেওয়া দোকান। গতকাল দুপুরে খাগড়াছড়ির রামেসু বাজারে

বসতবাড়ি হারিয়ে মা, বাবা ও বোনদের নিয়ে অসহায় অবস্থায় বাড়ির সামনে বসে ছিলেন চিয়া প্রু মারমা। পুড়ে যাওয়া বসতঘর দেখিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন নার্সিং কলেজে পড়ুয়া চিয়া প্রু মারমা। তিনি বলেন, ‘আমাদের পাড়ার কেউ অবরোধে অংশ নেননি। আমরা কিছুই করিনি। এরপরও বাইরে থেকে লোকজন এসে আমাদের ঘর পুড়িয়ে দিয়েছে। বই, কলম, খাতাও পুড়িয়ে ফেলেছে। এক কাপড়ে বের হয়েছি, সেভাবেই আছি এখনো।’

চিয়া প্রু মারমার বাবা মূলত কৃষক। এর পাশাপাশি দোকানও রয়েছে। তাঁদের বাড়িটি আধা পাকা। সামনে প্রশস্ত উঠান। বাড়ির আঙিনাজুড়ে গাছের সারি। নানা ধরনের বৃক্ষরাজিতে ভরা বাড়ির প্রাঙ্গণ। আম, লিচু, সুপারি, নারকেলগাছের সমাহার। আগুনের লেলিহান শিখার উত্তাপ ছুঁয়ে গেছে নিরীহ বৃক্ষরাজির ওপর। আগুনে পোড়া গাছগুলো মানুষের নির্মমতার সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।

ঘরহারা চিয়া প্রু মারমাদের বাড়ি থেকে বের হলেই রামেসু বাজার। সেই রামেসু বাজারের অবস্থা আরও খারাপ। সড়কের দুই পাশে থাকা দোকানপাট ও বসতঘর পুরোপুরি পুড়ে গেছে। শুধু আগুনে পোড়া অবকাঠামোগুলো কোনো রকমে দাঁড়িয়ে আছে। কোথাও কোথাও তা–ও নেই। মাটির সঙ্গে মিশে গেছে সব। রাস্তা ও রাস্তার পাশে পড়ে ছিল আগুনে পুড়ে যাওয়া মোটরসাইকেলগুলো।

আগুনের উত্তাপ কমে গেলেও উত্তেজনা কমেনি পাড়াবাসীর মধ্যে। আগুনে ছাই হয়ে যাওয়া দোকানঘরের সামনে অবস্থান করছিলেন ক্ষতিগ্রস্ত পাহাড়িরা। অনেক তরুণ ও যুবক গ্রেপ্তারের ভয়ে এলাকা ছেড়েছেন।

রামেসু বাজারে সরেজমিন গেলে গণমাধ্যমকর্মীদের দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন বৃদ্ধা পাইসং মারমা। পাড়ার লোকজন জানান, আগুনে তাঁর দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। পাড়ার বাসিন্দারা জানান, গুইমারার রামেসু বাজার পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর কাপড়ের জন্য বিখ্যাত। খাগড়াছড়ি শহরসহ আশপাশের উপজেলার লোকজন কাপড় কিনতে এখানে ছুটে আসেন। এবারের আগুনে কাপড়ের দোকানগুলো বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

আগুনের উত্তাপ কমে গেলেও উত্তেজনা কমেনি পাড়াবাসীর মধ্যে। আগুনে ছাই হয়ে যাওয়া দোকানঘরের সামনে অবস্থান করছিলেন ক্ষতিগ্রস্ত পাহাড়িরা। অনেক তরুণ ও যুবক গ্রেপ্তারের ভয়ে

রামেসু বাজার পাড়ার বাসিন্দা সাহ্লা প্রু মারমা প্রথম আলোকে বলেন, কারা হামলা করেছে তা নতুন করে বলার কিছু নেই। পাহাড়ি–বাঙালির মধ্যে এ ঘটনা ঘটেছে। তাই বুঝে নিন পাহাড়িদের পাড়ায় কারা আগুন দিয়েছে। আগুনে অন্তত ৪০টি দোকান, ৫০টি বসতবাড়ি পুড়ে গেছে। কিছু গুদামও পুড়েছে। শুধু পাহাড়িদের ঘরবাড়ি ও দোকানপাট পুড়েছে সেটি নয়, এখানে থাকা বাঙালিদেরও ঘর পুড়েছে। গরু–ছাগলও লুট করে নিয়ে গেছে।

বাজারে আগুনের ঘটনায় পাহাড়িরা স্থানীয় বাঙালিদের এবং বাঙালিরা পাহাড়িদের দোষারোপ করেছে। তবে উভয় পক্ষ আগুন দেওয়ার বিষয়ে নিজেদের সম্পৃক্ততা অস্বীকার করেছে।

কারা হামলা করেছে তা নতুন করে বলার কিছু নেই। পাহাড়ি–বাঙালির মধ্যে এ ঘটনা ঘটেছে। তাই বুঝে নিন পাহাড়িদের পাড়ায় কারা আগুন দিয়েছে। আগুনে অন্তত ৪০টি দোকান, ৫০টি বসতবাড়ি পুড়ে গেছে। কিছু গুদামও পুড়েছে।
সাহ্লা প্রু মারমা

এদিকে ৮ দফা দাবি নিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমাসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে জুম্ম ছাত্র–জনতার বৈঠক হয়েছে। গতকাল এ বৈঠক হয়। তবে বৈঠকে অবরোধ প্রত্যাহারের ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। রাতে জুম্ম ছাত্র-জনতার ফেসবুকে এ তথ্য জানানো হয়।

এখানে পাহাড়ি–বাঙালি কোনো ভেদাভেদ নেই। আমরা সবাই মিলে সবার জন্য কাজ করছি। যারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটাচ্ছে, তাদের কোনো ছাড় দেওয়া যাবে না।
খাগড়াছড়ি বিজিবি সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মো. আবদুল মোত্তাকিম

বিজিবির সংবাদ সম্মেলন

খাগড়াছড়িতে চলমান নানা ঘটনা ও সহিংসতার বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন, খাগড়াছড়ি বিজিবি সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মো. আবদুল মোত্তাকিম। গতকাল বিকেলে জেলা সদরের স্বনির্ভর এলাকায় সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘এখানে পাহাড়ি–বাঙালি কোনো ভেদাভেদ নেই। আমরা সবাই মিলে সবার জন্য কাজ করছি। যারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটাচ্ছে, তাদের কোনো ছাড় দেওয়া যাবে না।’ শহরে সেনাবাহিনী, পুলিশ-আনসারের পাশাপাশি বিজিবি সদস্যরা নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে কাজ করছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের ১০ প্লাটুন শহরের বিভিন্ন জায়গায় দিনে ও রাতে সার্বক্ষণিক টহল পরিচালনা করছে।’