
ফরিদপুরে স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসার পর তাঁর পালিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ওই নেতাকে পুলিশের হাতে তুলে দিতে চাপ দেওয়ার জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছে ওই নেতার বড় ভাইকে। আজ সোমবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা থানায়।
পালিয়ে যাওয়া নেতার নাম মো. নাসির উদ্দিন (৫২)। তিনি আলফাডাঙ্গা পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাকাইল মহল্লার বাসিন্দা মৃত সালাম মিয়ার ছেলে। রাজনীতির পাশাপাশি ব্যবসা করেন ওই ব্যক্তি।
নাসির উদ্দিন থানা থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর থানায় নিয়ে আসা হয় তাঁর বড় ভাই নবাব আলীকে (৫৫)। এলাকায় তিনি অরাজনৈতিক ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত। স্থানীয় বাকাইল মাদ্রাসার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি নবাব আলী।
এলাকাবাসী ও ওই আওয়ামী লীগ নেতার পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আলফাডাঙ্গা পৌরসভার বাকাইল সড়কে নিজের টিন বিক্রির ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাসির উদ্দিনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। এর কিছুক্ষণ পর বেলা দেড়টা থেকে দুইটার মধ্যে আওয়ামী লীগের ওই নেতা মুঠোফোনে কথা বলতে বলতে থানার পেছনের দিকে পুলিশ মেসের পাশ দিয়ে পালিয়ে যান।
এ ঘটনা জানাজানি হয়ে গেলে পুলিশ মো. নাসির উদ্দিনের বড় ভাই নবাব আলীকে থানায় নিয়ে আসে। নবাব আলীকে থানায় নিয়ে আসার পর পুলিশ নবাব আলীর পরিবারের সদস্য ও স্বজনদের ফোন করে মো. নাসির উদ্দিনকে থানায় হাজির করার তাগিদ দেয়। থানা থেকে বলা হয়, নাসির উদ্দিনকে পেলে নবাব আলীকে ছেড়ে দেওয়া হবে। নাসির ও নবাব আলীর ছোট ভাই তৈয়বুর রহমান বলেন, ‘আমি আলফাডাঙ্গা ছিলাম না। তবে আমি শুনতে পেরেছি আমার মেজ ভাই পালিয়ে যাওয়ায় বড় ভাইকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। মেজ ভাইকে সারেন্ডার করানো হলে বড় ভাইকে ছেড়ে দেওয়া হবে।’
তবে থানা থেকে আওয়ামী লীগ নেতা নাসির উদ্দিন পালিয়ে যাওয়ার খবর ঠিক নয় দাবি করে আলফাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন অর রশিদ প্রথম আলোকে বলেন, নাসির উদ্দিনকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছিল জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। থানায় তাঁর নামে কোনো মামলা নেই বিধায় তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। নাসির উদ্দিনের বড় ভাইকে থানায় নিয়ে আসার বিষয়ে ওসি বলেন, ‘ভাই, এই বিষয়টি আমরা দেখতেছি, দেখি কী করা যায়।’