
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে নির্বাচিত হয়েছেন মুহা. মহিউদ্দীন খান। তাঁর বাড়ি জয়পুরহাটের সদর উপজেলার হানাইল গ্রামে। তাঁর জয়ে উচ্ছ্বসিত গ্রামের বাসিন্দা, সাবেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও সহপাঠীরা।
মহিউদ্দীন অবসরপ্রাপ্ত মাদ্রাসাশিক্ষক আবদুল মাবুদ খানের ছোট ছেলে। তিনি স্থানীয় হানাইল নো’মানীয়া কামিল মাদ্রাসায় প্রথম শ্রেণি থেকে আলিম পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। ২০১৬ সালে দাখিল পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৫ এবং ২০১৮ সালে আলিম পরীক্ষায় সাধারণ বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হন। তিনি বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক।
ডাকসু নির্বাচনে ইসলামী ছাত্রশিবির–সমর্থিত প্যানেল ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট থেকে এজিএস পদে নির্বাচন করে ১১ হাজার ৭৭২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন মহিউদ্দীন খান। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদলের প্যানেলের তানভীর আল হাদি মায়েদ পান ৫ হাজার ৬৪ ভোট।
মহিউদ্দীনের সঙ্গে প্রথম শ্রেণি থেকে আলিম পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন মাকছুরা আখতার। তিনি বলেন, মহিউদ্দীন ছোট থেকেই মেধাবী, নম্র ও ভদ্র। ডাকসুতে এজিএস প্রার্থী হওয়ার পর থেকে তাঁদের বিশ্বাস ছিল, তিনি জিতবেন। কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পেয়ে তাঁরা মহিউদ্দিনের জন্য গর্বিত।
হানাইল গ্রামের বাসিন্দা মিলন হোসেন বলেন, ‘ডাকসুর নবনির্বাচিত এজিএস মহিউদ্দীন খান আমাদের গ্রামের সন্তান। আমরা তার এমন কৃতিত্বে গর্বিত।’
হানাইল নো’মানীয়া কামিল মাদ্রাসার সহকারী অধ্যাপক মো. ফজলুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘মহিউদ্দীন আমার ছাত্র ছিল। সে অত্যন্ত মেধাবী। ডাকসুতে জয়ী হয়ে মহিউদ্দীন প্রমাণ করেছে যে মফস্সলের ছাত্ররাও পরিশ্রম ও মেধার মাধ্যমে জাতীয় পর্যায়ে জায়গা করে নিতে পারে।’
মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মদ আবদুল হাকিম বলেন, ‘মহিউদ্দীন খান আমাদের মাদ্রাসার প্রাক্তন শিক্ষার্থী। মাদ্রাসার প্রাক্তন কোনো শিক্ষার্থী এই প্রথম ডাকসু নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে এজিএস নির্বাচিত হয়েছে। সম্ভবত জয়পুরহাট জেলার ইতিহাসেও এটি প্রথম। আমরা শিক্ষকেরা সবাই তার এমন কৃতিত্বে গর্বিত।’