
রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলায় আলমবিদিতর ও নোহালী ইউনিয়নে হঠাৎ ঝড়ে কয়েক শ বাড়িঘর লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। আধা পাকা ঘর ভেঙে পড়ায় তৃতীয় শ্রেণির এক শিক্ষার্থী আহত হয়েছে।
গঙ্গাচড়া উপজেলা প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়্যারম্যানদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে হঠাৎ ঝড় শুরু হয়। ঝড়ে আধা পাকা ও কাঁচা ঘরবাড়ি এবং গাছপালা ভেঙে পড়ে।
রংপুর আবহাওয়া কার্যালয়ের আবহাওয়াবিদ মো. মোস্তাফিজার রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের সংকেত পাওয়ার মতো তাঁদের ডিভাইস নেই। তবে গাছপালার ক্ষয়ক্ষতি দেখে মনে হচ্ছে, এটা ঘূর্ণিঝড় ছিল।
নোহালী ইউপির চেয়ারম্যান মো. আশরাফ আলী প্রথম আলোক জানান, সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে তাঁর ইউনিয়নের ১, ২, ৩, ৪, ৭ ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডে হঠাৎ ঝড় শুরু হয়ে ঘণ্টাব্যাপী চলে। এতে চর এলাকার তিন শতাধিক বাড়িঘর ও গাছপালা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অধিকাংশ ঘরের টিন ও কাঠ ঝড়ে উড়ে গেছে।
আলমবিদিতর ইউনিয়নের কুতুব হাজীরহাটের বাসিন্দা নাজমুল আমিন বলেন, হঠাৎ ঘূর্ণিঝড়ে তাঁর পাকা ঘর ভেঙে ঘরের টিন উড়ে গেছে। ঝড়ে তাঁর তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া ছেলে মাফির মাথা ফেটেছে এবং পা ভেঙেছে। তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে।
আলমবিদিতর ইউপির প্রশাসক ও উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা আফতাবুজ্জামান জানান, ইউনিয়নের ১ ও ২ নম্বর ওয়ার্ডে দুই শতাধিক বাড়ি ও ৫ নম্বর ওয়ার্ডে ১০ থেকে ১৫টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার তথ্য ইউপির সদস্যরা তাঁকে দিয়েছেন। তবে হতাহত হওয়ার কোনো তথ্য তিনি পাননি।
গঙ্গাচড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদ হাসান মৃধা প্রথম আলোকে বলেন, নোহালী, আলমবিদিতর, কোলকোন্দ ও লক্ষ্মীটারী ইউনিয়নের ওপর দিকে ঘূর্ণিঝড়ের মতো প্রবল বাতাস বয়ে যাওয়ার সময় একের পর এক ঘর ভেঙে পড়েছে। এসব এলাকার জনপ্রতিনিধিরা ১ হাজার ২০০টি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে তথ্য দিয়েছেন। মাঠে থাকা আমন ধানের ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের তালিকা করে টিন ও অন্যান্য সহযোগিতা দেওয়ার কার্যক্রম চলছে। উপজেলা প্রশাসন থেকে আপাতত শুকনা খাবার বিতরণ করা হচ্ছে।