মুন্সিগঞ্জ-১ আসনে বিএনপির দেওয়া মনোনয়ন পুনর্বিবেচনার দাবিতে বিক্ষোভ। বুধবার দুপুরে শ্রীনগর উপজেলার ডাকবাংলো এলাকায়
মুন্সিগঞ্জ-১ আসনে বিএনপির দেওয়া মনোনয়ন পুনর্বিবেচনার দাবিতে বিক্ষোভ। বুধবার দুপুরে শ্রীনগর উপজেলার ডাকবাংলো এলাকায়

মুন্সিগঞ্জ-১ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী পুনর্বিবেচনার দাবিতে বিক্ষোভ ও অবস্থান

মুন্সিগঞ্জ-১ (সিরাজদিখান-শ্রীনগর) আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী পুনর্বিবেচনার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দেড়টার মধ্যে শ্রীনগর উপজেলা ডাকবাংলো ও এক্সপ্রেসওয়ের সনবাড়ী এলাকায় এ কর্মসূচি পালিত হয়।

রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে গত সোমবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে ২৩৭টি আসনে দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এতে মুন্সিগঞ্জ-১ আসনে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও সিরাজদিখান উপজেলা বিএনপির সভাপতি শেখ মো. আবদুল্লাহকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। এখানে মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী ও শ্রীনগর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. মমীন আলী।

স্থানীয় সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে মুন্সিগঞ্জ-১ আসনে মনোনয়ন পাওয়ার জন্য গণসংযোগ করছিলেন মীর সরাফত আলী ও মমীন আলী। তাঁরা মনোনয়ন দৌড়েও এগিয়ে ছিলেন। সেই দিক থেকে মাঠের রাজনীতিতে ততটা সক্রিয় ছিলেন না শেখ মো. আবদুল্লাহ। গত সোমবার শেখ মো. আবদুল্লাহকে প্রার্থী ঘোষণা করা হলে সরাফত আলী ও মমীন আলীসহ তাঁদের সমর্থকদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ দেখা যায়।

আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শ্রীনগর উপজেলার ডাকবাংলো মোড় থেকে দুই মনোনয়নপ্রত্যাশীর নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। এ সময় ‘বিএনপি মহাসচিব ঘোষিত মনোনয়ন মানি না, টাকা না জনতা’ ইত্যাদি স্লোগান দেওয়া হয়। মিছিলটি ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের ছনবাড়ি আন্ডারপাসে ও পরে ডাকবাংলো সড়কে অবস্থান নিয়ে সমাবেশ করেন। এতে অংশ নেন মমীন আলী ও সরফত আলী।

বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা বলেন, ৩১ দফার প্রচারণাসহ দীর্ঘদিন ধরে আসনটিতে কার্যক্রম করে হামলা-মামলার শিকার হয়েছেন নেতা-কর্মীরা। অথচ তাঁদের প্রত্যাশিত ব্যক্তিদের প্রার্থী না করে একজন ব্যবসায়ীকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। দল থেকে বলা হয়েছে সম্ভাব্য প্রার্থী। যেকোনো সময় প্রার্থী পরিবর্তন হতে পারে। তাঁরা চূড়ান্ত মনোনয়নের আগে পুনর্বিবেচনা করে ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়নের দাবি জানান।