
নামী ব্র্যান্ডের চালের বস্তায় লেখা চিনিগুঁড়া চাল। দোকানি জানালেন, আমদানি করে আনা হয়েছে এসব চাল। তবে বস্তা খুলে দেখা গেল ভিন্ন চিত্র। তাতে নেই চিনিগুঁড়া চালের ঘ্রাণ। আবার চালের আকারও তুলনামূলক মোটা। চট্টগ্রাম নগরের পাহাড়তলী বাজারে একটি দোকানে এমন চিত্র দেখতে পান জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
আজ মঙ্গলবার নগরের বৃহৎ চালের আড়ত পাহাড়তলী বাজারে তদারকিতে যান জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চট্টগ্রামের উপপরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজ উল্যাহ, সহকারী পরিচালক মো. আনিছুর রহমান ও রানা দেবনাথ। এ সময় মেসার্স চৌধুরী অ্যান্ড কোং নামের দোকানে গিয়ে এমন অনিয়ম দেখতে পান কর্মকর্তারা।
কর্মকর্তারা জানান, আমদানি চাল দাবি করলেও কোনো কাগজপত্র ছিল না। সেখানে নামী কিছু ব্র্যান্ডের বস্তায় এসব চাল বিক্রি করা হচ্ছিল। কোনো সুগন্ধ না থাকলেও বস্তার গায়ে চিনিগুঁড়া চাল লিখে দিয়েছিলেন তাঁরা। ওজনেও কম দিচ্ছিল প্রতিষ্ঠানটি। এসব অপরাধে প্রতিষ্ঠানটিকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
উপপরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজ উল্যাহ বলেন, ওজনে কম দেওয়া ও নিম্নমানের চাল ব্র্যান্ডের বস্তায় বিক্রির অপরাধে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এ ছাড়া ওজনে কম ও মূল্য তালিকা না থাকায় মেসার্স হক রাইস এজেন্সি ও মেসার্স আদর স্টোরকে ১৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।