Thank you for trying Sticky AMP!!

আড়াই মাস পর বরিশালে সাদিক আবদুল্লাহ, মোটরসাইকেল শোডাউন

দীর্ঘ আড়াই মাসের বেশি সময় পর বরিশাল ফিরেছেন সিটি করপোরেশনের মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ। বৃহস্পতিবার বিকেলে বরিশাল নগরের কালীবাড়ি রোডে

আড়াই মাস পর বরিশালে ফিরেছেন বরিশাল সিটি করপোরেশনের বর্তমান মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ। বৃহস্পতিবার বিকেলে অনেকটা আকস্মিকভাবেই সড়কপথে তিনি ঢাকা থেকে বরিশালে আসেন।

সাদিক আবদুল্লাহর বরিশালে ফেরা উপলক্ষে গৌরনদী থেকে তাঁর সমর্থক নেতা-কর্মীরা কয়েক শ মোটরসাইকেল নিয়ে শোভাযাত্রাসহ তাঁকে বহনকারী গাড়িকে স্বাগত জানিয়ে শহরে নিয়ে আসেন। বিভিন্ন স্থানে ফুল ছিটিয়ে তাঁকে অভ্যর্থনা জানানো হয়। তবে তিনি শহরের কোথাও যাত্রা বিরতি না করেই সরাসরি নগরের কালীবাড়ী সড়কে তাঁর বাসভবনে যান।

এর আগে গত সোমবার আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্‌যাপন উপলক্ষে বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক প্রস্তুতি সভায় ঢাকা থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন সাদিক আবদুল্লাহ। ওই সভায় নেতা-কর্মীরা তাঁকে দ্রুত বরিশালে আসার আহ্বান জানালে তিনি শিগগির ফিরবেন বলে আভাস দিয়েছিলেন।

দলীয় সূত্র জানায়, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীকে ঘিরে বরিশালে বড় জমায়েত করার প্রস্তুতি নিয়েছে দলটি। বরিশাল জেলা ও নগর আওয়ামী লীগ যৌথভাবে এ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। সাদিক আবদুল্লাহ এবারের সিটি নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ায় তাঁর সমর্থক নেতা-কর্মীদের মধ্যে যে হতাশা তৈরি হয়েছে, তা কাটাতেই আকস্মিকভাবে এমন জমায়েতের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

সাদিক আবদুল্লাহ বরিশালে ফেরায় মোটরসাইকেল বহর নিয়ে স্বাগত জানান তাঁর সমর্থকেরা। বৃহস্পতিবার বিকেলে বরিশাল নগরের কাশিপুর এলাকায়

২০১৮ সালে বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র হন সাদিক আবদুল্লাহ। পরে তিনি বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হন। কিন্তু এবারের সিটি নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পাননি তিনি। পেয়েছেন তাঁর চাচা আবুল খায়ের আবদুল্লাহ। ১২ জুন ভোটে তিনি মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন।

মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা জানান, সাদিক আবদুল্লাহ আড়াই মাস পর বরিশালে ফিরে আসায় তাঁর কর্মী-সমর্থকেরা উজ্জীবিত। এতে খায়ের আবদুল্লাহকে ঘিরে দলের মধ্যে নতুন যে বলয়ের সৃষ্টি হয়েছে, তাঁদের সঙ্গে রাজনৈতিক বিভাজন নতুন মাত্রা পেতে পারে।

বরিশালের রাজনীতিতে আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও বর্তমানে দলের জাতীয় কমিটির সদস্য গোলাম আব্বাস চৌধুরী প্রথম আলোক বলেন, ‘বরিশালে মনোনয়ন ঘিরে এবার যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তাতে এমনটা হতে পারে কিংবা হওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। তবে আমি মনে করি, এটা দলের বৃহত্তর স্বার্থের ব্যাঘাত ঘটাবে না, সেটা ১২ জুনের নির্বাচনে প্রমাণ হয়েছে। কারণ, ওই নির্বাচনে দলের কেউ বিরোধিতা করেননি, কেউ বিদ্রোহী প্রার্থী হননি। আশা করি ভবিষ্যতেও খারাপ কিছু হবে না।’