নারায়ণগঞ্জ শহরের বাবুরাইল বউবাজার এলাকায় একটি ভাড়া ফ্ল্যাট থেকে এক দম্পতি ও তাঁদের চার বছরের শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার সন্ধ্যার দিকে দরজা ভেঙে পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের মরদেহ উদ্ধার করেন।
মারা যাওয়া তিনজন হলেন হাবিবুল্লাহ শিপলু (৩৫), তাঁর স্ত্রী মোহিনী আক্তার মীম (২৪) এবং তাঁদের চার বছরের ছেলে আফরান। হাবিবুল্লাহ কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার দাবিরন এলাকার বাসিন্দা। তিনি নারায়ণগঞ্জে আমের আড়তে কাজ করতেন। বউবাজার এলাকার পলাশ মিয়ার সাততলা ভবনের চতুর্থ তলায় পরিবারসহ ভাড়ায় থাকতেন হাবিবুল্লাহ। এর আগে তিনি রমজান নামের এক ব্যক্তির সমবায় সমিতিতে কাজ করতেন। রমজান মানুষের টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছেন।
হাবিবুল্লার বড় ভাই মো. লাভলু প্রথম আলোকে বলেন, ‘দিনভর (সোমবার) ভাইয়ের কোনো খবর পাচ্ছিলাম না। দরজা না খোলায় পুলিশকে খবর দিই। পুলিশ গিয়ে দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। বিছানায় পড়ে ছিল ভাবি ও ভাতিজার মরদেহ। আমার ভাই ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছিল। তার কিছু ঋণ ছিল। তবে কত টাকা, সেটা জানি না।’
পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে, গতকাল রোববার রাত থেকে আজ বিকেলের মধ্যে ঘটনাটি ঘটে। এদিকে একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যুর খবরে স্বজন ও এলাকাবাসী ঘটনাস্থলে ভিড় জমান।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) তারেক আল মেহেদী প্রথম আলোকে বলেন, হাবিবুল্লাহ আগে রমজানের সমিতিতে কাজ করতেন। এ কারণে তাঁর বিরুদ্ধে একটি মামলাও ছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, সমিতির টাকার জন্য পাওনাদারদের চাপেই তিনি চরম হতাশায় পড়েছিলেন। সেই চাপ থেকে মুক্তি পেতেই হয়তো স্ত্রী-সন্তানকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যার পর নিজে আত্মহত্যা করেছেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরও বলেন, মরদেহগুলো উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।