ফরিদপুরে এ কে আজাদের বাড়িতে চড়াও হওয়ার মামলায় বিএনপির কর্মী গ্রেপ্তার

ফরিদপুরে এ কে আজাদের বাড়িতে চড়াও হওয়ার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার বিএনপিকর্মী মির্জা আলীসন আজম ওরফে প্রিন্স
ছবি: সংগৃহীত

ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এ কে আজাদের ফরিদপুর শহরের ঝিলটুলীর বাড়িতে চড়াও হওয়ার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি বিএনপির এক কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার সন্ধ্যায় ফরিদপুর সদরের চরমাধবদিয়া ইউনিয়নের মমিনখাঁরহাট এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার হওয়া আসামির নাম মির্জা আলীসন আজম ওরফে প্রিন্স (৪৫)। তিনি মমিনখাঁর হাট এলাকার মৃত বদু ব্যাপারীর ছেলে। মামলায় ফরিদপুর মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব গোলাম মোস্তফাসহ (৫৫) ১৬ জন বিএনপির নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এর মধ্যে মির্জা আলীসন আজম ১১ নম্বর আসামি। তিনি এলাকায় বিএনপির কর্মী হিসেবে পরিচিত।

মির্জা প্রিন্স আলীসনের ভাই মির্জা আবদুল মান্নান বলেন, সোমবার সন্ধ্যার দিকে ডিবি পুলিশের একটি দল কথা আছে বলে মির্জা আলীসনকে নিয়ে যায়।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. শামসুল আজম বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার সন্ধ্যায় ফরিদপুর সদরের চরমাধবদিয়া ইউনিয়নের মমিনখাঁর হাট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় মির্জা আলীসন আজমকে। তাঁকে মঙ্গলবার আদালতে সোপর্দ করা হবে। তিনি এ কে আজাদের বাড়িতে চড়াও হওয়ার ঘটনায় দায়ের করা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি।

গত বৃহস্পতিবার বিকেল পৌনে চারটার দিকে এ কে আজাদের ফরিদপুর শহরের ঝিলটুলীর বাসভবনে চড়াও হন মহানগর বিএনপি, মহানগর ছাত্রদল, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের কিছু নেতা–কর্মী। ‘এ কে আজাদের বাড়িতে গোপন বৈঠক করছে আওয়ামী লীগ’—কথিত এ অভিযোগ এনে ওই বাড়িতে যান তাঁরা।

পরদিন হামীম গ্রুপের কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাফিজুল খান ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় একটি অভিযোগ দেন। এতে ফরিদপুর মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব গোলাম মোস্তফাসহ ১৬ জন বিএনপির নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ২৫ থেকে ৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে। শুক্রবার দিবাগত রাতে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় মামলাটি রেকর্ড করা হয়। ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদউজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ কে আজাদের বাড়িতে বেআইনিভাবে দলবদ্ধ হয়ে অনধিকার প্রবেশ করে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে এ মামলা করা হয়।

মামলায় ফরিদপুর মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব গোলাম মোস্তফাকে ১ নম্বর আসামি করা হয়েছে। অন্য যাঁদের আসামি করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব শাহরিয়ার হোসেন, কোতোয়ালি থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান চৌধুরী, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান, মহানগর যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ নাহিদুল ইসলাম, মহানগর ছাত্রদলের সহসভাপতি ক্যাপ্টেন সোহাগ প্রমুখ।