গতকাল শুক্রবার রাতে সাভার উপজেলার আশুলিয়ায় সেপটিক ট্যাংক বিস্ফোরণে বাড়ির একটি ঘরের দেয়াল ও টিনের চাল ভেঙে গেছে
গতকাল শুক্রবার রাতে সাভার উপজেলার আশুলিয়ায় সেপটিক ট্যাংক বিস্ফোরণে বাড়ির একটি ঘরের দেয়াল ও টিনের চাল ভেঙে গেছে

আশুলিয়ায় সেপটিক ট্যাংক বিস্ফোরণে নিহত ১, আহত ৫

ঢাকার সাভারের আশুলিয়ায় সেপটিক ট্যাংক বিস্ফোরণে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় শিশুসহ আরও পাঁচজন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। গতকাল শুক্রবার রাতে আশুলিয়ার ভাদাইল দক্ষিণপাড়া এলাকায় মো. রহমত উল্লাহর টিনশেড বাড়ির সেপটিক ট্যাংক পরিষ্কারের সময় এ ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তির নাম গোলাম রাব্বানী (৫০)। তিনি ওই বাড়ির ভাড়াটে এবং বাড়ির ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে ছিলেন।

আহত ব্যক্তিরা হলেন রাব্বানীর স্ত্রী ফারিয়া বেগম রত্না (৪৫), মেয়ে ইশরাত জাহান রিয়া (১৮), বাড়ির মালিকের স্ত্রী সোনিয়া আক্তার (৩৫), ছেলে মো. রোহান (৭) এবং সেপটিক ট্যাংক পরিষ্কার করতে আসা শ্রমিক ইমান আলী (৪৫)। তাঁদের মধ্যে গুরুতর আহত ইমান আলীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের সাভারের গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ঢাকা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (ডিইপিজেড) ফায়ার সার্ভিস জানায়, শুক্রবার রাত দুইটার দিকে বাড়ির সেপটিক ট্যাংক পরিষ্কার করার সময় হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ট্যাংকের ওপরের পাকা ফ্লোর ওপরের দিকে উঠে যায় এবং ঘরের দেয়াল ও টিনের চাল ভেঙে পড়ে। একটি ঘর সম্পূর্ণ ধসে পড়ে। বিস্ফোরণে ঘটনাস্থলেই মারা যান গোলাম রাব্বানী। খবর পেয়ে রাত আড়াইটার দিকে ডিইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান।

ডিইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার প্রণব চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, শুধু স্ল্যাব বসিয়ে সেপটিক ট্যাংক নির্মাণ করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ট্যাংকে জমা গ্যাসের চাপ থেকে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।

আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবদুল হাননান বলেন, নিহতের পরিবারের সদস্যরা ময়নাতদন্ত ছাড়া লাশ হস্তান্তরের জন্য আবেদন করেছেন। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনানুগ পদক্ষেপের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।