
কুমিল্লার চান্দিনায় ছিনতাইকারী সন্দেহে বাড়ি থেকে ধরে এনে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল রোববার দিবাগত মধ্যরাতে উপজেলার বরকরই ইউনিয়নের চাঁদসার গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত যুবকের নাম মো. মুছা (২৬)। তিনি বরকরই ইউনিয়নের কাদুটি গ্রামের আলাউদ্দিনের ছেলে।
আজ সোমবার দুপুরে মুছার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তবে বিকেল পর্যন্ত এ ঘটনায় কাউকে আটক বা গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার চাঁদসার গ্রামের ময়নাল হোসেন কাদুটি বাজারে মুঠোফোনের ব্যবসা করেন। প্রায় ১০ দিন আগে ময়নাল বাজার থেকে বাড়ি যাওয়ার সময় পথে ছিনতাইকারীরা তাঁকে ধরে সাড়ে ৩ লাখ টাকা ও কয়েকটি মুঠোফোন কেড়ে নেয়। ওই ঘটনায় ময়নাল মুছাকে সন্দেহ করেন। ঘটনার পরের দিন থেকে মুছা তাঁর বাড়িতে না থাকায় সন্দেহ আরও তীব্র হয় ময়নালের।
পুলিশ জানায়, গতকাল রোববার রাতে মুছা বাড়িতে ফেরেন। এ সময় তাঁর বাড়ির লোকজন ময়নালকে খবর দেন। রাত প্রায় সাড়ে ১২টার দিকে ময়নাল তাঁর ঘনিষ্ঠ তোফাজ্জল হোসেনসহ আরও কয়েকজনকে নিয়ে মুছাদের বাড়িতে যান। একপর্যায়ে ছিনতাইকারী অ্যাখ্যা দিয়ে মুছাকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে চাঁদসার গ্রামে পিটুনি দেন তাঁরা। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। পরে সেখানে মরদেহ ফেলে আত্মগোপনে চলে যান নির্যাতনকারীরা। খবর পেয়ে আজ মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
ঘটনার পর থেকে ময়নাল হোসেন ও তাঁর ঘনিষ্ঠ তোফাজ্জল হোসেন গা ঢাকা দেওয়ায় এ বিষয়ে তাঁদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
চান্দিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাবেদ উল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি নিহত মুছা ছিঁচকে চোর। ময়নাল হোসেন নামের ওই ব্যক্তি তাঁকে ছিনতাইকারী হিসেবে সন্দেহে করেন। মুছাও ছিনতাইয়ের ঘটনার পর বাড়িতে না থাকায় তাঁর ব্যাপারে সন্দেহ বাড়তে থাকে। সর্বশেষ রোববার রাতে মুছা বাড়িতে এলে তাঁকে ধরে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।’
মুছার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ওসি। তিনি বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। ময়নাল হোসেনসহ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে অভিযান চলছে।