ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আইন বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ জহুরুল ইসলামকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়েছে। আজ রোববার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক মনজুরুল হক স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানা যায়।
অফিস আদেশে বলা হয়, গত ২৮ আগস্ট অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের ২৭০তম (সাধারণ) সভার ২৪ নম্বর সিদ্ধান্ত মোতাবেক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী দক্ষতা ও শৃঙ্খলাবিধির ৪ (১) (ই) ধারা অনুযায়ী ২০২৪ সালের ২১ আগস্ট তাঁকে চাকরি থেকে অপসারণ (রিমুভ্যাল ফ্রম সার্ভিস) করা হয়।
অধ্যাপক জহুরুল ইসলাম বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব নর্থ ডাকোটায় ইনস্ট্রাকশনাল ডিজাইন অ্যান্ড টেকনোলজি বিষয়ে এমএস ডিগ্রিতে অধ্যয়ন করছেন।
আজ সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফোনে জহুরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘২০২৩ সাল থেকে শিক্ষা ছুটি নিয়ে আমি আমেরিকায় আছি। প্রতিবছর সেটা নবায়ন করি। সম্পূর্ণ ভুল তথ্যের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এখনো অফিশিয়ালি কিছু পাইনি বা জানি না। তবে এ বিষয়ে শুনেছি এবং দেখেছি। এটা বেআইনি ও আক্রোশমূলক। আমাকে হেয় করতেই করা হয়েছে। দেশে গিয়ে এটার বিষয়ে মোকাবিলা করব।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিস আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে, অধ্যাপক জহুরুল ইসলাম ২০২৪ সালের ২১ আগস্ট থেকে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন। একই বছরের ৯ ডিসেম্বর শিক্ষা ছুটিসংক্রান্ত স্ট্যান্ডিং কমিটির ১৯৭তম সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাঁকে এক মাসের মধ্যে কর্মস্থলে যোগদানের নির্দেশ দেওয়া হলেও তিনি যোগদান করেননি। এ ছাড়া বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থেকেছেন।
এ ঘটনায় তদন্তে ২০২৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের ২৬৭তম (সাধারণ) সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটির সুপারিশে সর্বশেষ ২৮ আগস্ট অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের সভায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী দক্ষতা ও শৃঙ্খলাবিধির ৩ (এইচ) ধারা অনুযায়ী অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী দক্ষতা ও শৃঙ্খলাবিধির ৪ (১) (ই) ধারা অনুযায়ী ২০২৪ সালের ২১ আগস্ট থেকে তাঁকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়।