
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সংলগ্ন একটি ভবনের ফ্ল্যাট থেকে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় তাঁর কক্ষ থেকে রঙিন কাগজে লেখা চারটি চিরকুট পাওয়া গেছে। একটি চিরকুটে লিখেছেন, তাঁর মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নন।
নিহত ছাত্রীর নাম সোনিয়া সুলতানা (২৪)। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ২০১৯-২০ সেশনের (৬৭তম ব্যাচ) শিক্ষার্থী ছিলেন।
বুধবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়–সংলগ্ন মির্জাপুর এলাকার ইসলাম টাওয়ারের সাততলার একটি ফ্ল্যাট থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। বৈদ্যুতিক পাখার সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় সোনিয়ার মরদেহ পাওয়া যায়। ফ্ল্যাটে পরিবারের সঙ্গেই থাকতেন সোনিয়া। তাঁর বাবা একজন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী।
নগরের মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল মালেক বলেন, ‘ওড়না গলায় প্যাঁচানো অবস্থায় মরদেহ ঝুলছিল। এটি আত্মহত্যা বলেই মনে হয়েছে। সোনিয়া চিরকুটে মরদেহের ময়নাতদন্ত না করার অনুরোধ জানিয়ে গেছে। পরিবারও সেটি চায়নি। তাই ময়নাতদন্ত করা হয়নি। মরদেহ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে এ নিয়ে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।’
বিষয়টিকে মর্মান্তিক উল্লেখ করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমান বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তবে মৃত্যুর কোনো সঠিক কারণ আমরা জানতে পারিনি। পুলিশও আমাদের কোনো কিছু জানাতে পারেনি। হয়তো পরে আমরা জানতে পারব।’