নেদারল্যান্ডস থেকে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় আনা হয়েছে ছয়টি ক্যাঙ্গারু ।
নেদারল্যান্ডস থেকে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় আনা হয়েছে ছয়টি  ক্যাঙ্গারু ।

চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় নতুন অতিথি ক্যাঙ্গারু ও লামা

চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় আনা হয়েছে ছয়টি করে ক্যাঙ্গারু ও লামা। নেদারল্যান্ডস থেকে ঢাকা হয়ে এ প্রাণীগুলো আজ শুক্রবার সকালে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় এসে পৌঁছে। এর আগে এই দুই প্রজাতির প্রাণী এখানে ছিল না।

অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় পশু ক্যাঙ্গারু। প্রাণীটি পেছনের দুই পায়ের ওপর ভর দিয়ে লাফিয় চলে। ক্যাঙ্গারু মারসুপিয়াল গোত্রের এক প্রকার স্তন্যপায়ী প্রাণী। এদের কেবল অস্ট্রেলিয়া ও প্রতিবেশী দ্বীপগুলোয় দেখা যায়। ক্যাঙ্গারুর বাচ্চা মায়ের পেটের থলিতে থেকে বড় হয়।

ক্যাঙ্গারুকে খাবার হিসেবে পালংশাক, পাকা কলা, কচি ঘাস, লতাপাতা ও অন্যান্য শস্য খাবার হিসেবে দেওয়া হয়। পুরুষ ক্যাঙ্গারু সাধারণত ২৪ মাসে প্রজননক্ষম হয়। স্ত্রীদের প্রজননক্ষম হওয়ার বয়স ১৫ থেকে ২০ মাস। বন্য পরিবেশে এদের গড় আয়ু হয় ১২ থেকে ১৬ বছর। বদ্ধ পরিবেশে এরা ২০ থেকে ২২ বছর বাঁচে।

চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় আনা ছয়টি ক্যাঙ্গারুর মধ্যে দুটি প্রাপ্ত বয়স্ক। বাকি চারটি বাচ্চা। ছয়টির মধ্যে দুটি পুরুষ। নেদারল্যান্ডস থেকে কিনে আনা এসব প্রাণী বিমানযোগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসে। সেখান থেকে রাতে সড়কপথে চট্টগ্রাম আনা হয়।

একই সঙ্গে ছয়টি লামা আনা হয়। লামা উট প্রজাতির একটি প্রাণী। চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় আনা ছয়টি লামার মধ্যে দুটি পুরুষ প্রজাতির।

লামা উট প্রজাতির একটি প্রাণী।

জানতে চাইলে চিড়িয়াখানার ভারপ্রাপ্ত কিউরেটর শাহদাত হোসেন বলেন, ক্যাঙ্গারু ঢাকা চিড়িয়াখানায়ও রয়েছে। বাংলাদেশের আবহাওয়া এই দুই প্রজাতির প্রাণীর জন্য উপযোগী। বর্তমানে চিড়িয়াখানায় ৬৮ প্রজাতির পশু–পাখি রয়েছে।

এদিকে আজ থেকে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় দুই মাস আগে জন্ম নেওয়া চারটি সাদা বাঘ দর্শকদের জন্য পুরোপুরি উন্মুক্ত করা হয়েছে। এত দিন বাঘগুলোর এক পাশের খাঁচার দিক দর্শকদের জন্য খোলা রাখা হয়েছিল।