মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব শামীম হায়দার পাটোয়ারী। আজ মঙ্গলবার সকালে
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব শামীম হায়দার পাটোয়ারী। আজ মঙ্গলবার সকালে

মব সচিবালয়ে ঢুকে পড়েছে, সেই প্রশাসন কীভাবে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করবে: জাপা মহাসচিব

জাতীয় পার্টির মহাসচিব শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেছেন, ‘এই অবস্থায় সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না। মব তীব্রভাবে দেশকে আঁকড়ে ধরেছে। মব সচিবালয়ে ঢুকে পড়েছে, ডিসি অফিসে ঢুকে পড়েছে। সেই প্রশাসন কীভাবে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করবে? তারপরও আমরা ভোটে যেতে আগ্রহী, কারণ কোনো কোনো ক্ষেত্রে—এ ব্যাড ইলেকশন বেটার দ্যান নো ইলেকশন।’

আজ মঙ্গলবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে শামীম হায়দার পাটোয়ারী এ কথা বলেন।

শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, ‘বিজয়ের এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে সারেন্ডার (আত্মসমর্পণ) করেছিল। এটি আমাদের হাজার বছরের ইতিহাসে সর্বশ্রেষ্ঠ দিন। যে বৈষম্য, যে হীন মানসিকতা, যার প্রতিবাদে আমরা স্বাধীন হয়েছিলাম, এত বছর পরেও আমরা সেই বৈষম্যহীন সমাজ গড়তে পারিনি। সেই সমতার সমাজ গড়তে পারিনি, সেই গণতান্ত্রিক সমাজ গড়তে পারিনি।’

ঐক্যের বাংলাদেশ গড়ার পরিবর্তে অনৈক্যকে আনা হয়েছে, মবতন্ত্রের উত্থান ঘটেছে ও হত্যার রাজনীতি শুরু হয়েছে মন্তব্য করে শামীম হায়দার পাটোয়ারী​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​ বলেন, ‘নির্বাচনের তফসিল দেওয়ার পর গুরুত্বপূর্ণ একজন প্রার্থী, একজন গুরুত্বপূর্ণ কণ্ঠস্বর, ওসমান হাদিকে হত্যার জন্য অত্যন্ত নির্মমভাবে গুলি করা হয়েছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ করি। এর মাধ্যমে রাষ্ট্রব্যবস্থার যে ভঙ্গুর অবস্থা, সেটি উদীয়মান হচ্ছে। এর মাধ্যমে প্রমাণিত হচ্ছে যে সরকার আসলে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত কি না। আমরা একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন চাই, একটি সমতার নির্বাচন চাই। আমরা একটি রাষ্ট্রকাঠামো দেখতে চাই, সরকারকাঠামো দেখতে চাই। কিন্তু আমরা দেখছি, সরকার দুর্বল হচ্ছে, মব শক্তিশালী হচ্ছে। অপশক্তি শক্তিশালী হচ্ছে।’

জাতীয় পার্টির মহাসচিব আরও বলেন, ‘আমাদের এখন সকলকে মিলে ঐকমত্য সৃষ্টি করে একটা ঐকমত্যের নির্বাচন, একটা সমঝোতা করতে হবে—রাজনৈতিক সমঝোতা, সকলকে নিয়ে। এর মাধ্যমে দেশ গঠন করতে হবে। একাত্তর ছাড়া কোনো রাজনৈতিক আদর্শ হতে পারে না। যারা একাত্তরকে বিকৃত করছে, তারা বাংলাদেশকে বিকৃত করছে। চব্বিশে একটি অসম্ভব আন্দোলন হয়েছে, অনেক ছাত্র-জনতা জীবন দিয়েছে। তবে একাত্তর একাত্তরের জায়গায় মহিমান্বিত, চব্বিশ চব্বিশের জায়গায় মহিমান্বিত। যারা একাত্তরকে বিশ্বাস করবে না, তারা বাংলাদেশকে ভালোবাসে না।’