
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (শাকসু) নির্বাচনে প্রার্থিতা নিয়ে এখনো দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগছে শাখা ছাত্রদল। ছাত্রসংগঠনটির একাধিক নেতা-কর্মীর দাবি, প্রার্থী কারা হবেন—এ বিষয়ে ‘সবুজ সংকেত’ না পাওয়ায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
ইতিমধ্যে ছাত্রদলের কেউ কেউ এককভাবে বিভিন্ন উদ্যোগ বাস্তবায়ন করেছেন। তবে তাঁদের আশঙ্কা, শেষ পর্যন্ত দল থেকে যথাযথ মূল্যায়ন পাবেন কি না! বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের শীর্ষ নেতারা জানিয়েছেন, যাঁরা কাজ করবেন, সক্রিয় থাকবেন ও শিক্ষার্থীবান্ধব কাজে অংশ নেবেন, সংগঠন তাঁদের মূল্যায়ন করবে।
গতকাল সোমবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের অন্তত পাঁচ নেতার সঙ্গে কথা হয় প্রথম আলোর প্রতিবেদকের। নেতাদের মতে, যদি একটি নির্দিষ্ট সময় আগেই প্রার্থিতা চূড়ান্ত করতে পারা যায়, তাহলে সেটি কার্যকর হবে। অন্য ছাত্রসংগঠনগুলো যেভাবে গুছিয়ে মাঠে নামতে পারছে, ভোটারদের কাছে যেতে পারছে, তাঁরা সেদিকে অনেকটা পিছিয়ে।
ছাত্রদল সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের নেতারা তিনটি বড় অংশে বিভক্ত। এগুলোর নেতৃত্বে আছেন সভাপতি রাহাত জামান, সাধারণ সম্পাদক নাঈম সরকার ও সহসভাপতি মোহাম্মদ সোহাগ। তাঁদের মধ্যে প্রার্থিতা নিয়ে দর-কষাকষি হতে পারে। তবে কোন পক্ষ থেকে কতজন আসতে পারেন, তা এখনো নিশ্চিত নয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের দুই নেতা প্রথম আলোকে বলেন, বিগত চারটি ছাত্রসংসদ নির্বাচনে ছাত্রদল শেষ মুহূর্তে গিয়ে প্রার্থী নির্ধারণ করে প্যানেল ঘোষণা করেছে। পিছিয়ে যাওয়ার এটি একটি বড় কারণ। যদি তফসিলের আগেই সম্ভাব্য প্রার্থীদের বিষয়ে সবুজ সংকেত পাওয়া যায়, তাহলে পিছিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা কম। কারণ, প্রার্থীরা নিজেদের গুছিয়ে নিতে পারবেন। ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের ইতিবাচক প্রভাব থাকলেও শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত নিলে আউটপুট কেমন হবে, তা ধারণা করা যায়।
তবে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি রাহাত জামান তেমনটি মনে করেন না। এ বিষয়ে তাঁর ভাষ্য, ‘পিছিয়ে যাওয়ার কোনো কারণ দেখছি না। যারা যোগ্য ও প্রার্থী হওয়ার সক্ষমতা আছে, তারা অবশ্যই মূল্যায়িত হবে। এ বিষয়ে আজকালের মধ্যেই কেন্দ্রীয় সভাপতির সঙ্গে কথা বলব।’
অন্যদিকে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক নাঈম সরকার বলেন, শাকসুর নির্বাচনের জন্য একাধিক যোগ্য প্রার্থী আছেন। যাঁদের একাডেমিক ফল ভালো, শিক্ষার্থীদের মধ্যে গ্রহণযোগ্যতা আছে, তাঁদের অবশ্যই মূল্যায়ন করা হবে।
দীর্ঘ ২৮ বছর পর শাকসু নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নিয়েছে। আজ মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট উদ্বোধন করার কথা আছে। এ ছাড়া নির্বাচনের আচরণবিধির খসড়া নিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করছে কমিশন। বিষয়টি চূড়ান্ত হলেই তফসিল ঘোষণা করা হবে।