পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হামেশা ফুড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আসাদুল ইসলাম। আজ শুক্রবার দুপুরে সোনারগাঁ থানা প্রাঙ্গণে
পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হামেশা ফুড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আসাদুল ইসলাম। আজ শুক্রবার দুপুরে সোনারগাঁ থানা প্রাঙ্গণে

অর্থ আত্মসাতের মামলায় হামেশা ফুডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গ্রেপ্তার

অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণার মামলায় নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের ‘হামেশা ফুড লিমিটেডের’ ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আসাদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ভোরে রাজধানীর গুলশান থেকে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট তাঁকে গ্রেপ্তার করে সোনারগাঁ থানায় হস্তান্তর করে।

সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রাশেদুল হাসান খান বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন।

রাশেদুল হাসান খান বলেন, সোনারগাঁয়ের বারদী এলাকায় ‘হামেশা ফুড লিমিটেড’ নামে আসাদুলের একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান আছে। ব্যবসার নাম করে প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকার অর্থঋণ আদালতে করা তিনটি মামলায় তিনি বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকায় আজ ভোরে গুলশান থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে সোনারগাঁ থানায় হস্তান্তর করা হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আসাদুল ইসলাম সোনারগাঁয়ের নোয়াগাঁও ইউনিয়নের চর কামালদী এলাকার বাসিন্দা। বিগত সরকারের সময় আওয়ামী লীগের নাম ভাঙিয়ে তিনি এলাকায় প্রভাব বিস্তারের পাশাপাশি ব্যবসার নামে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ। বিভিন্ন সময় পাওনাদারদের টাকা ফেরত না দিয়ে মারধর ও হুমকি দিয়েছেন। এসব ঘটনায় সোনারগাঁ থানাসহ বিভিন্ন স্থানে তাঁর বিরুদ্ধে অন্তত তিনটি মামলা ও একাধিক সাধারণ ডায়েরি (জিডি) রয়েছে।

অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে গত ৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর লালমাটিয়া এলাকার ‘তানভীর ফ্লাওয়ার অ্যান্ড ডাল মিলসের’ কর্মকর্তা মো. মাহমুদ হোসাইন সোনারগাঁ থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। এতে বলা হয়, হামেশা ফুডের সঙ্গে তানভীর ফ্লাওয়ারের ব্যবসা ছিল। তানভীর ফ্লাওয়ার মিলের অন্তত ১ কোটি ৬৫ লাখ টাকার মালামাল আত্মসাৎ করেছেন আসাদুল। সেই টাকা ফেরত চাইতে গেলে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা মাহমুদ হোসাইনকে মারধর ও হুমকি দেন তিনি।

পুলিশ কর্মকর্তা রাশেদুল হাসান খান বলেন, ‘আসাদুল খুবই চতুর। আমরা তাঁর বিরুদ্ধে করা অন্যান্য অভিযোগের বিষয়েও তদন্ত শুরু করেছি।’