অভিযানে গ্রেপ্তার দুই ব্যক্তি ও উদ্ধার করা অস্ত্র-গুলি। আজ সকালে হাতিয়া থানার সামনে
অভিযানে গ্রেপ্তার দুই ব্যক্তি ও উদ্ধার করা অস্ত্র-গুলি। আজ সকালে হাতিয়া থানার সামনে

অপারেশন ডেভিল হান্ট

যৌথ বাহিনীর গাড়ি লক্ষ্য করে ককটেল হামলা, অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তার ২

নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় অভিযানে থাকা যৌথ বাহিনীর সদস্যদের গাড়ি লক্ষ্য করে ককটেল ছোড়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় যৌথ বাহিনীর সদস্যরা ২৪ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে দুজনকে বিপুল অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তার করেছেন। গতকাল সোমবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার চরকিং ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউসার মিয়ার ইটভাটার সামনে এ ঘটনা ঘটে।

গ্রেপ্তার দুজন হলেন নবীর উদ্দিন (৫০) ও ইমাম হোসেন (৫০)। ঘটনাস্থলে ধাওয়া দিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের কাছ থেকে চারটি আগ্নেয়াস্ত্র, ছয়টি ধারালো অস্ত্র, আটটি গুলি ও ২০টি ককটেল উদ্ধার হয়েছে।

অভিযানের বিষয়ে আজ মঙ্গলবার সকালে হাতিয়া থানা চত্বরে প্রেস ব্রিফিং করেন নৌবাহিনীর হাতিয়া কন্টিনজেন্টের কমান্ডার আফসার আহমেদ। তিনি বলেন, অপারেশন ডেভিল হান্টের অংশ হিসেবে নোয়াখালীর হাতিয়ায় অভিযান অব্যাহত রেখেছে নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড ও পুলিশের যৌথ দল। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল রাতে যৌথ বাহিনীর দলটি কাউসার মিয়ার ইটভাটার সামনে পৌঁছালে সন্ত্রাসীরা যৌথ বাহিনীকে লক্ষ্য করে ককটেল ছুড়তে থাকেন। এ সময় আত্মরক্ষার অংশ হিসেবে ২৪ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে যৌথ বাহিনী। পরে ধাওয়া দিয়ে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

প্রেস ব্রিফিং করছেন নৌবাহিনীর কন্টিনজেন্ট কমান্ডার আফসার আহমেদ। আজ সকালে হাতিয়া থানার সামনে

হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আজমল হুদা প্রথম আলোকে বলেন, আটক দুই সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে থানায় হত্যা, ডাকাতি, চাঁদাবাজি, মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে। অভিযানের সময় ৩০ থেকে ৩৫ সন্ত্রাসী পালিয়ে গেছেন। তাঁদের নাম-পরিচয় শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে। যৌথ বাহিনীর অভিযানে হামলার ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা করে নবীর উদ্দিন ও ইমাম হোসেনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।