সাতক্ষীরা-২ আসনে দলের প্রাথমিক মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে স্থানীয় বিএনপির একাংশের মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা। রোববার দুপুর ১২টায় বিনেরপোতা জিরো পয়েন্ট সংলগ্ন সাতক্ষীরা–খুলনা মহাসড়কে
সাতক্ষীরা-২ আসনে দলের প্রাথমিক মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে স্থানীয় বিএনপির একাংশের মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা। রোববার দুপুর ১২টায় বিনেরপোতা জিরো পয়েন্ট সংলগ্ন সাতক্ষীরা–খুলনা মহাসড়কে

৭ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবিতে বিক্ষোভ

বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়ন পুনর্বিবেচনার দাবিতে সাতক্ষীরা, চাঁদপুর, জয়পুরহাট, মৌলভীবাজার, মেহেরপুর ও কুষ্টিয়ার সাতটি সংসদীয় আসনে বিক্ষোভ, মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা, গণমিছিল, সমাবেশসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। আজ রোববার দুপুর থেকে বিকেলের মধ্যে এসব কর্মসূচি পালিত হয়।

সাতক্ষীরা

সাতক্ষীরা-২ (সাতক্ষীরা-দেবহাটা) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী আব্দুর রউফের প্রাথমিক মনোনয়ন বাতিল এবং টানা সাতবারের ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আলিমকে দলের চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা হয়েছে। দুপুর ১২টায় বিনেরপোতা জিরো পয়েন্ট সংলগ্ন সাতক্ষীরা-খুলনা মহাসড়ক থেকে শোভাযাত্রা শুরু হয়ে খুলনা রোড মোড় চত্বরে সমাবেশের মাধ্যমে কর্মসূচি শেষ হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ধানের শীষ প্রতীকের বিজয় নিশ্চিত করতে হলে আব্দুল আলিমকে মনোনয়ন দিতে হবে। তিনি ছাড়া অন্য কারও পক্ষে নেতা–কর্মীরা মাঠে কাজ করবেন না।

সমাবেশে বক্তব্য দেন বিএনপির ঘোনা ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি কামরুজ্জামান, ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়ন বিএনপি নেতা সাইফুল ইসলাম (মজনু), লাবসা ইউনিয়ন বিএনপি নেতা আতিয়ার রহমান প্রমুখ।

চাঁদপুর-২ আসনে বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবিতে গণমিছিল। রোববার বিকেলে মতলব উত্তর উপজেলার ঠাকুরচর এলাকায়

চাঁদপুর

মতলব উত্তর ও মতলব দক্ষিণ উপজেলা নিয়ে গঠিত চাঁদপুর-২ আসনে বিএনপির প্রাথমিক প্রার্থী পরিবর্তন করে জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তানভীর হুদাকে দেওয়ার দাবিতে গণমিছিল ও গণসমাবেশ হয়েছে। বিকেল সাড়ে চারটায় মতলব উত্তর উপজেলার ঠাকুরচর ও ছেংগারচরবাজার এলাকায় ওই কর্মসূচি পালিত হয়।
এ আসনে বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়েছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন।

দলীয় ও স্থানীয় সূত্র জানায়, জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও প্রয়াত প্রতিমন্ত্রী নুরুল হুদার ছেলে তানভীর হুদার অনুসারী স্থানীয় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা মতলব উত্তর উপজেলার ঠাকুরচর চৌরাস্তা এলাকায় জড়ো হন। তাঁদের হাতে ছিল ব্যানার, ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড। মনোনয়ন পরিবর্তন করে তানভীর হুদাকে দেওয়ার দাবিতে সেখান থেকে তাঁরা গণমিছিল বের করেন। এরপর গণমিছিলটি মতলব উত্তরের ছেংগারচরবাজার এলাকায় শেষ হয়। সেখানে এক গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

গণসমাবেশে বক্তব্য দেন মতলব উত্তর উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি গোলাম সারোয়ার মজুমদার, মতলব দক্ষিণ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি বিল্লাল হোসেন মৃধা, জেলা বিএনপির সাবেক প্রচার সম্পাদক জাকির হোসেন, মতলব উত্তরের ছেংগারচর পৌর বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল ফরাজী, জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য আলাউদ্দিন খান প্রমুখ। বক্তারা দাবি করেন, আসনটিতে তানভীর হুদাকে মনোনয়ন না দেওয়া হলে সাংগঠনিকভাবে বিএনপি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

তানভীর হুদা বলেন, দুঃসময়ে তিনি দলের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের পাশে ছিলেন। ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে একাধিকবার হামলা ও মামলার শিকার হয়েছেন। বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়ন পরিবর্তন করে তাঁকে বিবেচনায় নেওয়ার জন্য দলের নীতিনির্ধারকদের কাছে তিনি জোর দাবি জানান।

চাঁদপুর-৪ আসনে বিএনপির প্রাথমিক প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে কাফনের কাপড় পরে মিছিল। ফরিদগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকায়

এদিকে চাঁদপুর-৪ (ফরিদগঞ্জ) আসনে বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে এবার কাফনের কাপড় পরে সড়কে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন দলের স্থানীয় নেতা–কর্মীদের একাংশ। সাবেক সংসদ সদস্য মো. হারুনুর রশিদকে সরিয়ে দলের ‘ত্যাগী’ কাউকে প্রার্থী করার দাবিতে বিকেলে ফরিদগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড থেকে মিছিলটি শুরু হয়। উপজেলা সদরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় বাসস্ট্যান্ড এলাকায় শেষ হয়। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে বক্তারা জানান, দলের মনোনয়ন পাওয়া হারুনুর রশিদের কোনো হদিস ছিল না বিগত ১৭ বছর। তিনি দলের দুর্দিনে নেতা–কর্মীদের একা ফেলে ঢাকায় এসি রুমে ছিলেন। উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক এম এ হান্নান দল এবং নেতা–কর্মীদের আগলে রাখেন। এমন নিবেদিত নেতাকে বঞ্চিত করে সুবিধাবাদী একজনকে মনোনয়ন দেওয়ায় নেতা–কর্মীরা হতাশ হয়েছেন।

সাবেক পৌর মেয়র ও উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মঞ্জিল হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন পৌর বিএনপির আহ্বায়ক আমানত হোসেন গাজী, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, আবু জাফর খসরু মোল্লা, ফারুক আহমেদ খান, মাসুদ হোসেন, পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জামাল হোসেন, উপজেলা যুবদলের সভাপতি আমজাদ হোসেন (শিপন), পৌর যুবদলের সভাপতি ইমাম হোসেন পাটওয়ারী প্রমুখ।

জয়পুরহাট-২আসনে বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবিতে কালাই উপজেলা সদরে বিক্ষোভ মিছিল শেষে টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করেন গোলাম মোস্তফার কর্মী ও সমর্থকেরা। রোববার বিকেলে কালাই বাস টার্মিনাল এলাকায়

জয়পুরহাট

আক্কেলপুর, কালাই ও ক্ষেতলাল উপজেলা নিয়ে গঠিত জয়পুরহাট-২ আসনে বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়ন পাওয়া আব্দুল বারীকে পরিবর্তন করে গোলাম মোস্তাফাকে চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়ার জন্য বিক্ষোভ ও টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। রোববার বেলা সাড়ে তিনটায় কালাই উপজেলা সদরে এ কর্মসূচি পালন করেন গোলাম মোস্তফার অনুসারীরা।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সাবেক সচিব আব্দুল বারী আসনটিতে প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়েছেন। তাঁর বাড়ি কালাইয়ে। তিনি ‘ডিসি বারী’ হিসেবে পরিচিত। এরপর সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মোস্তফার কর্মী-সমর্থকেরা ফুঁসে ওঠেন। বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছেন তাঁরা। এর ধারাবাহিকতায় আজ বিকেলে কালাই উপজেলা সদরে বিক্ষোভ শেষে কালাই বাস টার্মিনাল এলাকায় টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করেন। এ সময় প্রায় ২০ মিনিট কালাই-মোকামতলা আঞ্চলিক মহাসড়কের দুই পাশে যানবাহন আটকা ছিল।

বিক্ষোভকারীদের বেশির ভাগই আক্কেলপুর ও ক্ষেতলাল উপজেলার বাসিন্দা। বিক্ষোভকারীরা জানান, যিনি দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন, তাঁকে গত ১৭ বছর এলাকায় দেখা যায়নি। আর গোলাম মোস্তাফা এই আসনের দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য। তিনি দলের দুর্দিনে নেতা-কর্মীদের পাশে ছিলেন।

সড়ক অবরোধ নিয়ে গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘আমি দলীয় মনোনয়ন পাইনি। এটা দলের তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা মানতে পারছেন না।’

বিএনপির মনোনয়ন পাওয়া আব্দুল বারী বলেন, ‘যাঁরা আমার দলীয় মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে কালাইয়ে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করেছেন, তাঁরা বিএনপির কেউ নন। গোলাম মোস্তফা তাঁর আত্মীয়স্বজনদের দিয়ে এটা করিয়েছেন।’

মৌলভীবাজার-২ আসনে বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়ন পুনর্বিবেচনার দাবিতে আবেদ রাজা নিজের অনুসারী নেতা-কর্মীদের নিয়ে রোডমার্চ করেন। রোববার বিকেলে কুলাউড়ার ব্রাহ্মণবাজার মিশন চৌমোহনা এলাকায়

মৌলভীবাজার

মৌলভীবাজার-২ (কুলাউড়া উপজেলা) আসনে বিএনপির প্রার্থীর মনোনয়ন পুনর্বিবেচনার দাবিতে মনোনয়নবঞ্চিত দলের নেতা আবেদ রাজা তাঁর অনুসারী নেতা-কর্মীদের নিয়ে ‘রোডমার্চ’ করেছেন।

বেলা তিনটার দিকে উপজেলার ব্রাহ্মণবাজার মিশন চৌমোহনা এলাকা থেকে ‘রোডমার্চ’ কর্মসূচি শুরু হয়। এতে অন্তত ২০০ মোটরসাইকেল ও কয়েকটি প্রাইভেট কার ও বাসে করে বিএনপির নেতা-কর্মীরা অংশ নেন। এ সময় আবেদ রাজা একটি খোলা জিপে দাঁড়িয়ে হাত নেড়ে পথচারীদের শুভেচ্ছা জানান। পরে উপজেলার টিলাগাঁও, পৃথিমপাশা ও রাউৎগাঁও ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে কুলাউড়া পৌর শহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে এ কর্মসূচি শেষ হয়।

মৌলভীবাজার-২ (কুলাউড়া) আসনে উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি যুক্তরাজ্যপ্রবাসী শওকতুল ইসলামকে প্রাথমিক প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। মনোনয়নবঞ্চিত আবেদ রাজা দলের মৌলভীবাজার জেলা কমিটির সাবেক সহসভাপতি। এর আগে ২০০৮ সালের সংসদ নির্বাচনে তিনি (আবেদ রাজা) এ আসনে দলীয় প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হন।

কর্মসূচি শুরুর আগে আবেদ রাজা সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, ‘আমরা বলেছিলাম, ভুল-ত্রুটি হতে পারে, সিদ্ধান্ত গ্রহণে অনেক বিষয় থাকতে পারে। তাই মনোনয়ন পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছি। দলের দুর্দিনে সব আন্দোলন-সংগ্রামে ছিলাম। আশা করি দল পুনর্বিবেচনা করবে।’

মেহেরপুর

মেহেরপুর-১ (সদর-মুজিবনগর) আসনের মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে জেলা বিএনপির একাংশের সমাবেশ হয়েছে। বিকেলে মেহেরপুর শহরের ড. শহীদ সামছুজ্জোহা পার্ক প্রাঙ্গণে এই সমাবেশে জেলা, সদর ও মুজিবনগর উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা–কর্মীরা এতে অংশ নেন।

আসনটিতে বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মাসুদ অরুন।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির সহসভাপতি ইলিয়াস হোসেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান বলেন, ‘মেহেরপুর-১ আসনে যে পদ্ধতিতে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে, তা দলীয় জনমত ও মূল্যবোধের পরিপন্থী। আমরা অবিলম্বে এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় জেলা বিএনপি আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করতে বাধ্য হবে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মনোনয়ন পাওয়া মাসুদ অরুন প্রথম আলোকে বলেন, ‘তৃণমূল পর্যায়ের নেতা–কর্মীদের সঙ্গে যাঁর যোগাযোগ ভালো, ১৭ বছর ধরে যিনি নেতা–কর্মীদের খোঁজখবর রেখেছেন, বিএনপি সেই নেতাকে মনোনীত করেছে।’

কুষ্টিয়া–৪ আসনে মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ–মিছিল। রোববার সন্ধ্য়ায় কুমারখালী বাসস্ট্যান্ট এলাকায়

কুষ্টিয়া

কুষ্টিয়া-৪ (কুমারখালী-খোকসা) আসনে সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমীর মনোনয়ন বাতিল করে উপজেলা বিএনপির সভাপতি নুরুল ইসলাম আনছার প্রামাণিককে প্রার্থী করার দাবিতে আবারও মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বিএনপির একাংশের নেতা–কর্মীরা।

তৃণমূল বিএনপির ব্যানারে রোববার সন্ধা সাড়ে ছয়টার দিকে কুষ্টিয়া রাজবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়কের কুমারখালী গোলচত্বর এলাকায় প্রায় আধা ঘণ্টাব্যাপী কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন পথচারীরা।
এর আগে, সন্ধা ছয়টার দিকে কুমারখালী হলবাজার থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। পরে শহরের গণমোড়, থানা মোড়, স্টেশনবাজার প্রদক্ষিণ করে কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করেন নেতা–কর্মীরা।

এ বিষয়ে জগন্নাথপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুল করিম বিশ্বাস বলেন, ‘দলের ত্যাগী নেতা–কর্মীদের বাদ দিয়ে মেহেদী রুমীকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। যিনি দীর্ঘ ১৭ বছর আন্দোলন–সংগ্রামে ছিলেন না। অথচ সুখে–দুঃখে আনছার প্রামাণিক দলকে সুসংগঠিত করে রেখেছেন। কিন্তু দল আনছারকে মূল্যায়ন না করে মেহেদীকে মনোনয়ন দেওয়ায় তৃণমূল বিএনপি চরমভাবে হতাশ হয়েছে। এখানে রুমী থাকলে জামায়াত জিতে যাবে।’

(প্রতিবেদনে তথ্য দিয়েছেন নিজস্ব প্রতিবেদক, সাতক্ষীরা ও কুষ্টিয়া এবং প্রতিনিধি, চাঁদপুর, মতলব দক্ষিণ, জয়পুরহাট, জুড়ী, মৌলভীবাজার ও মেহেরপুর)