আল আমিন
আল আমিন

কিশোরগঞ্জে ‘অনলাইন জুয়া নিয়ে’ বিরোধে কৃষিশ্রমিককে পিটিয়ে হত্যা

কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে ক্রিকেটে ‘অনলাইন জুয়া নিয়ে’ বিরোধে এক কৃষিশ্রমিককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় তাঁর স্ত্রী আজ রোববার তাড়াইল থানায় মামলা করেছেন।

নিহত আল আমিনের (৩৫) বাড়ি উপজেলার তালজাঙ্গা ইউনিয়নের আউজিয়া গ্রামে। তিনি আদিবা (৭) ও তাইয়িবা (২) নামের দুই কন্যাসন্তানের জনক।

মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে অনলাইন জুয়া নিয়ে আল আমিন ও শামীমের মধ্যে কথা–কাটাকাটি হয়। এর জেরে শামীমসহ কয়েকজন আল আমিনকে লাঠিপেটাসহ ধারালো অস্ত্র দিয়ে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তালজাঙ্গা বাজারে আবার হামলার শিকার হন তিনি। শনিবার ভোরে কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় আল আমিনের স্ত্রী মোছা. দিলোয়ারা আক্তার (২৮) একই গ্রামের মো. শামীম মিয়াকে (২৫) প্রধান আসামি করে মোট ৩০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।

শনিবার রাতে ময়নাতদন্ত শেষে আজ রোববার সকালে আল আমিনের লাশ গ্রামে আনা হয়। আল আমিনের স্ত্রী দিলোয়ারা বলেন, ‘আমার নির্দোষ স্বামীরে শামীমসহ কয়েকজনে মিলে নির্দয়ভাবে পিটাইয়া মাইরালছে। এহন আমি অবুঝ দুই মাইয়ারে লইয়া কই যাইবাম? কে দেখব আমরারে? মাইয়া দুইটা নিয়া আমি কীভাবে চলব? আমি এর বিচার চাই।’ এ সময় স্থানীয় লোকজনও অপরাধীদের শাস্তির দাবিতে লাশ নিয়ে বিক্ষোভ করেন। বাদ জোহর জানাজা শেষে আল আমিনকে স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
স্থানীয় বাসিন্দা এরশাদ উদ্দিন ও দেলোয়ার হোসেনসহ কয়েকজন বলেন, অনলাইন জুয়ায় আসক্তির কারণে এলাকায় অশান্তি বেড়েছে। বিভিন্ন চায়ের দোকান ও মোড়ে মোড়ে মুঠোফোনে জুয়া খেলা চলছে। এতে তরুণেরা নষ্ট হচ্ছে। এরই জেরে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে এই কৃষিশ্রমিককে নির্মমভাবে হত্যা করা হলো।

তাড়াইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাব্বির রহমান বলেন, মামলার পর থেকেই আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। তবে তাঁরা গা ঢাকা দেওয়ায় এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।