কক্সবাজারের প্যাঁচার দ্বীপ মারমেইড বিচ রিসোর্টে আয়োজিত দুই দিনব্যাপী স্থপতি সম্মেলনে বক্তব্য দেন মেরিনা তাবাসসুম
কক্সবাজারের প্যাঁচার দ্বীপ মারমেইড বিচ রিসোর্টে আয়োজিত দুই দিনব্যাপী  স্থপতি সম্মেলনে বক্তব্য দেন মেরিনা তাবাসসুম

কক্সবাজারে স্থপতিদের দুদিনব্যাপী সম্মেলন অনুষ্ঠিত

কক্সবাজারে প্রথমবারের মতো স্থপতিদের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‘আর্কিটেক্ট সামিট’ নামের দুই দিনের এই সম্মেলনে সারা দেশের ৬০ জন স্থপতি অংশগ্রহণ করেন। ১১ ও ১২ জুলাই কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের প্যাঁচার দ্বীপে অবস্থিত মারমেইড বিচ রিসোর্টে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে ইকোট্যুরিজম, জলবায়ু সহনশীল পর্যটন এবং এই অঞ্চলের ভবিষ্যৎ তৈরিতে স্থাপত্যের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন স্থপতিরা।

সম্মেলনের তত্ত্বাবধান করেন স্থপতি মেরিনা তাবাসসুম। সম্মেলনের প্রথম দিন তিনি বলেন, কক্সবাজারের প্রাকৃতিক পরিবেশ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে হুমকির মুখে পড়েছে। তিনি ইকোট্যুরিজমের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, স্থানীয় সম্প্রদায়ের সামাজিক এবং অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করার পাশাপাশি পরিবেশ এবং ঐতিহ্য রক্ষায় সাহায্য স্থপতিদের এগিয়ে আসতে হবে।

সম্মেলনে ইকোট্যুরিজম নিয়ে প্যানেল আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন স্থপতি মেরিনা তাবাসসুম, খন্দকার হাসিবুল কবির ও এহসান খান। বিকেলে সাতজন স্থপতি তাঁদের প্রেজেন্টেশন উপস্থাপনা করেন।

দ্বিতীয় দিনে আরও দশজন স্থপতি তাঁদের কাজ উপস্থাপন করেন। সম্মেলনটি শেষ হয় উন্মুক্ত আলোচনার মাধ্যমে।

স্থপতি এবং মারমেইড বিচ রিসোর্টের চেয়ারম্যান এ এম জিয়া উদ্দিন খান বলেন, ‘স্থপতিরা শুধু বর্তমানের জন্য নয়, বরং একটি টেকসই ভবিষ্যতের জন্য নকশা করেন। এই সম্মেলন স্থাপত্যে উদ্ভাবনী চিন্তা যোগ করবে।’

কক্সবাজারের প্যাঁচারদ্বীপ মারমেইড বিচ রিসোর্টে আয়োজিত হয়

সম্মেলনে বক্তারা বলেন, এ ধরনের সম্মেলন ইকোট্যুরিজম, টেকসই নকশা ও জলবায়ু সহনশীল স্থাপত্যকে উৎসাহিত করবে।

সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন স্থপতি সাইকা ইকবাল, স্থপতি দিদারুল ইসলাম ভুঁইয়া, স্থপতি শুভ্র শোভন চৌধুরী, স্থপতি রাশেদ হাসান চৌধুরী, স্থপতি খন্দকার আসিফুজ্জামান রাজন এবং স্থপতি তাবাসসুম জারিন।