সড়ক অবরোধ করেছেন হেফাজতের নেতা–কর্মীরা। আজ সকালে হাটহাজারী সদরে
সড়ক অবরোধ করেছেন হেফাজতের নেতা–কর্মীরা। আজ সকালে হাটহাজারী সদরে

চট্টগ্রামে বাসের ধাক্কায় হেফাজত নেতা নিহত, প্রতিবাদে দুই মহাসড়ক অবরোধ

চট্টগ্রামের রাউজানে বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী এক হেফাজত নেতা নিহত হয়েছেন। তাঁকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে দাবি করে এর প্রতিবাদে জেলার হাটহাজারী উপজেলায় চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রাম-রাঙামাটি আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করেছেন হেফাজতের নেতা-কর্মীরা। আজ বুধবার সকাল সাতটা থেকে অবরোধ শুরু হয়। অবরোধের কারণে দুই সড়কে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে, আটকে পড়েছে কয়েক শ যানবাহন।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাউজান উপজেলার চট্টগ্রাম-রাঙামাটি সড়কের নবীন সেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। নিহত ব্যক্তির নাম মাওলানা সোহেল চৌধুরী (৫০)। তিনি হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নির্বাহী কমিটির সদস্য। এ ছাড়া রাউজান উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের কচুখাইন আহমদিয়া আল ইসলামিয়া আল হিকমা মাদ্রাসার মুহতামিম ছিলেন তিনি। সোহেল চৌধুরী চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার কালাপানিয়া এলাকার আবদুল কাদের চৌধুরীবাড়ির আবুল মহসীন চৌধুরীর ছেলে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, মাওলানা সোহেল চৌধুরী রাউজান এলাকা থেকে নিজের মোটরসাইকেলে করে হাটহাজারীতে ফিরছিলেন। পথে নবীন সেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সংলগ্ন এলাকায় পৌঁছালে পেছন থেকে আসা একটি দ্রুতগতির বাস তাঁকে ধাক্কা দেয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পর বাসচালক জানে আলমকে (৪০) আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

এ ঘটনায় আজ সকাল সাতটার দিকে কয়েক শ মানুষ হাটহাজারী উপজেলায় চট্টগ্রাম-রাঙামাটি ও চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় সড়ক দুটিতে কয়েক শ যানবাহন আটকে পড়ে। এ কারণে দুর্ভোগে পড়েন এসব যানবাহনের চালক ও যাত্রীরা।

সড়ক অবরোধের কারণে হেঁটে গন্তব্যে যাচ্ছে মানুষ। আজ সকালে চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসার সামনে

চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাটহাজারী সার্কেল) তারেক আজিজ প্রথম আলোকে বলেন, ‘এক হেফাজত নেতা সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হওয়ার ঘটনায় তাঁর কিছু সমর্থক হাটহাজারীতে সড়ক অবরোধ করে রেখেছেন। আমরা বিষয়টি আলোচনা করে সমাধানের চেষ্টা করছি।’