
রংপুর নগরের জাহাজ কোম্পানি মোড় থেকে মাহীগঞ্জ সাতমাথা পর্যন্ত সাড়ে চার কিলোমিটার সড়কের কার্পেটিং উঠে গেছে, খোয়া বের হয়েছে, স্থানে স্থানে বড় গর্ত—বৃষ্টি হলেই জমে কাদা। এই দুর্দশা থেকে মুক্তি পেতে আবারও প্রতীকী কর্মসূচি পালন করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
আজ শুক্রবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে সাতমাথা রেলগেটসংলগ্ন ভাঙা সড়কের ওপর ধানের চারা রোপণ ও রংপুর সিটি করপোরেশনকে ‘লাল কার্ড’ দেখানো হয়।
সাতমাথার বাসিন্দা রাজিমুজ্জামান বলেন, ‘বেহাল সড়ক নিয়ে আমরা বারবার সিটির কাছে ধরনা দিয়েছি। কোনো কাজ হয়নি। এর আগে আমরা সিটিকে মৃত ঘোষণা করে গায়েবানা জানাজাও করেছি। আজ ধানের চারা রোপণ করে বোঝাতে চেয়েছি—এই রাস্তায় গাড়ি চলে না, ধান চাষ সম্ভব।’
স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে বক্তব্য দেন আসিফ মাহমুদ, মো. প্রান্ত, ছিয়াম হোসেন, হাসান আলী, হোসেন আলী প্রমুখ। বক্তারা বলেন, প্রায় এক বছর ধরে জাহাজ কোম্পানি থেকে সাতমাথা পর্যন্ত প্রায় চার কিলোমিটার সড়ক চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এই সড়ক দিয়ে লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, পীরগাছা, কাউনিয়াসহ বিভিন্ন এলাকার হাজারো মানুষ প্রতিদিন চলাচল করে। কিন্তু সড়কে খানাখন্দ থাকায় চলাচলকারী ব্যক্তিরা ভোগান্তিতে পড়ছে। প্রায়ই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এক বছর ধরে সড়ক খানাখন্দে ভরা থাকলেও সিটি করপোরেশন সড়ক সংস্কারে উদ্যোগ গ্রহণ করছে না। এলাকাবাসী বলেন, লাল কার্ড প্রদর্শনের মাধ্যমে তাঁরা শেষবারের মতো হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে দৃশ্যমান সংস্কারকাজ শুরু না হলে ব্যবসায়ীরা দোকান বন্ধ রেখে ধর্মঘট করবেন। এমনকি রংপুর-ঢাকা রেলপথও অবরোধ করা হবে।
এর আগে ২০ জুলাই রংপুর সিটি করপোরেশনকে ‘মৃত’ ঘোষণা করে প্রতীকী গায়েবানা জানাজা কর্মসূচি পালন করেন এই এলাকার বাসিন্দারা। জানতে চাইলে রংপুর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী উম্মে ফাতিমা বলেন, আগামী সপ্তাহে সড়কের গর্তগুলোতে জরুরি মেরামতকাজ শুরু হবে। এ ছাড়া বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে পুনর্নির্মাণের জন্য মন্ত্রণালয় থেকে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া গেছে।