Thank you for trying Sticky AMP!!

দুদক

সম্পদের তথ্য গোপন করায় রাজশাহীতে সাবেক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা

দুই কোটি টাকা মূল্যের বেশি স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের তথ্য গোপন করার অভিযোগে রাজশাহীতে সাবেক এক পুলিশ পরিদর্শকের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ সোমবার দুপুরে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. ইসমাইল হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তার নাম ফরিদুল ইসলাম খান (৬৩)। সর্বশেষ তিনি রাজশাহীতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) থেকে অবসর গ্রহণ করেছেন। বর্তমানে তিনি রাজশাহী মহানগরীর বড়কুঠিপাড়া মহল্লায় বসবাস করেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জ সদরের সুবর্ণগাতি এলাকায়।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম খান বলেন, তিনি কোনো সম্পদ গোপন করেননি। দুদক যে সম্পদ দেখিয়েছে তা তাঁর শ্বশুরবাড়ির। এই সম্পদও তাঁদের পৈতৃক সূত্রে পাওয়া। তিনি আদালতে এসবের জবাব দেবেন।

দুদক সূত্রে জানা গেছে, অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ পাওয়া গেলে ফরিদুল ইসলাম খানকে তাঁর সম্পদ বিবরণী দাখিল করতে বলা হয়েছিল। ২০২০ সালের ২২ সেপ্টেম্বর তিনি সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন। এতে তিনি ১৪ লাখ ৬২ হাজার ৭০০ টাকার স্থাবর সম্পদের বিবরণ দেন। সম্পদ বিবরণীতে তিনি কোনো অস্থাবর সম্পদের তথ্য উল্লেখ করেননি।

এরপর দুদক অনুসন্ধানে নেমে তাঁর নামে ২৮ লাখ ৯১ হাজার ৬১৯ টাকার স্থাবর সম্পদ ও ১ কোটি ৯৯ লাখ ৯৪ হাজার ৩৬৮ টাকার অস্থাবর সম্পদের সন্ধান পায়। এতে তাঁর নামে ২ কোটি ২৮ লাখ ৮৫ হাজার ৯৮৭ টাকার সম্পদ পাওয়া যায়। তিনি ২ কোটি ১৪ লাখ ২৩ হাজার ২৮৭ টাকা মূল্যের সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন বলে মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়েছে।

দুদক মামলার বিবরণে আরও জানিয়েছে, তিনি দেনা বা ঋণ দেখিয়েছিলেন ২৯ লাখ ২০ হাজার টাকার। কিন্তু যাচাইয়ে তাঁর নামে ১৭ লাখ ৬৯ হাজার ৩৭৫ টাকার দেনা পাওয়া গেছে। আয়বহির্ভূত অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং অসৎ উদ্দেশ্যে সম্পদের তথ্য গোপন করার অভিযোগে পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। দ্রুত সময়ে মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে বিচারের মুখোমুখি করা হবে।