
কাতার বিশ্বকাপ শেষ হলেও নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার ফুটবলপ্রেমীদের উন্মাদনা এখনো শেষ হয়নি। প্রিয় দল আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জেতায় গরু ও ছাগল জবাই করে তাঁরা ভূরিভোজের আয়োজন করেছেন।
ভূরিভোজ উপলক্ষে আজ শুক্রবার বেলা ১১টায় শহরে আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়। আয়োজক মামুন হোসেন ও প্রিন্স মোল্লা শোভাযাত্রায় নেতৃত্ব দেন। রাতে পৌরসভার চাঁচকৈড় বাজার কাঠহাট মোড়ে রান্না ও ভূরিভোজের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। পৌর মেয়র শাহনেওয়াজ আলী ভূরিভোজ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
আয়োজকেরা জানান, বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা প্রথম ম্যাচে সৌদি আরবের সঙ্গে হারার পর সমর্থকেরা হতাশ হননি। আয়োজক মামুন ও প্রিন্স মোল্লা সেই সময় প্রতিজ্ঞা করেছিলেন, আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জিতলে গরু ও খাসি জবাই করে ভূরিভোজ করবেন। ১৮ ডিসেম্বর আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ের পর আজ সেই প্রতিজ্ঞা বাস্তবায়ন করেন তাঁরা।
আয়োজক মামুন হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, আর্জেন্টিনার প্রাণভোমরা মেসির কঠিন ভক্ত তিনি। তাঁর সব খেলার খোঁজখবর রাখেন তিনি। তাঁর প্রতি ভালোবাসা জানিয়ে ফুটবল বিশ্বকাপের ডামাডোলের সময় তাঁর বাড়িটি আর্জেন্টিনার পতাকায় মুড়িয়ে দিয়েছিলেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ ট্রফি জেতায় ভূরিভোজে প্রায় এক লাখ টাকা ব্যয় হচ্ছে। মামুন হোসেন ও প্রিন্স মোল্লা এ খরচ বহন করছেন। তাঁরা জানান, প্রায় দেড় হাজার আর্জেন্টিনা ভক্তসহ এলাকার নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ ভূরিভোজে অংশ নেন। সনাতন ধর্মের ২০০ জনের জন্য খাসি আর মুসলমানদের জন্য গরুর মাংসের তেহারি করা হয়।
সন্ধ্যায় চাঁচকৈড় কাঠহাট মোড় এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, গরু ও খাসি জবাইয়ের পর দুটি চুলায় রান্না করা হচ্ছে। রাঁধুনিকে সহযোগিতা করছেন আর্জেন্টিনার সমর্থকেরা। আয়োজক মামুন ও প্রিন্স কাজ তদারক করছেন। রাত নয়টার পর সারিবদ্ধভাবে রান্না করা খাবার পরিবেশন করা হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত পৌর মেয়র শাহনেওয়াজ আলী বলেন, প্রিয় দলের প্রতি ভালোবাসা দেখিয়ে এত বড় আয়োজনে তিনি মুগ্ধ। তবে দেশের উন্নয়নে সামাজিক সচেতনতা ও উন্নয়নমূলক কাজে তরুণের এভাবে এগিয়ে এলে দেশ বদলে যেত। এ জন্য তরুণদের উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।