
সিলেটে চোরাচালান নিয়ে একটি ফোনালাপ ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ার পর ছাত্রদলের এক নেতাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে এবং একজন কর্মীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
অব্যাহতি পাওয়া সোহেল আহমদ কানাইঘাট পৌর ছাত্রদলের সদস্যসচিব। আর বহিষ্কৃত সিয়াম আহমদ পৌর ছাত্রদলের কর্মী।
গতকাল শুক্রবার সিলেট জেলা ছাত্রদলের সহদপ্তর সম্পাদক জয়নাল আবেদীন (রাহেল) স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে তাঁদের বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে তাঁরা কিসের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েছিলেন, সেটি উল্লেখ করা হয়নি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সিলেট জেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জুবের আহমদ (জুবের) ও সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন (দিনার) শুক্রবার কানাইঘাট পৌর ছাত্রদলের সদস্যসচিবকে পদ থেকে অব্যাহতি এবং ছাত্রদলের কর্মীর বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেন।
জেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জুবের আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ওই (ভারতীয় পণ্যের চোরাচালান) ফোনালাপ অনেকে তাঁদের কাছে দিয়েছেন। পাশাপাশি বিষয়টি তাঁরা যাচাই–বাছাই করে সোহেল আহমদ ও সিয়াম আহমদের সম্পৃক্ততা পেয়েছেন। এ জন্য এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জুবের বলেন, দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজ কখনোই ছাত্রদল মেনে নেয় না। ওই দুজন দলীয় শৃঙ্খলা ভাঙায় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কারও বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ প্রমাণিত হলে একইভাবে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ওই কল রেকর্ডে দুজনকে ভারতীয় পণ্য চোরাচালানের বিষয়ে আলাপ করতে শোনা যায়। কানাইঘাট পৌর ছাত্রদলের সদস্যসচিব সোহেল আহমদকে সিয়ামের উদ্দেশে বলতে শোনা যায় তিনি (সোহেল) এক পুলিশ সদস্যের সঙ্গে তাঁকে (সিয়াম) বসিয়ে দেবেন, যাতে সুযোগ-সুবিধা নিতে পারেন। এ ছাড়া ভবিষ্যতে চোরাই পণ্যের লাইন চালু হলে কানাইঘাট পুলিশ পৌর ছাত্রদলকে মাসে ১০–২০ হাজার টাকা যাতে দেয়, সে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলতে শোনা যায়। তবে ওই ফোন রেকর্ডটি কবে ধারণ করা, সেটি জানা যায়নি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রশ্ন শোনেই মুঠোফোনের সংযোগ কেটে দেন সোহেল আহমদ। এ বিষয়ে সিলেটের কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল আউয়ালের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ব্যস্ত রয়েছেন জানিয়ে পরে কথা বলবেন বলে মুঠোফোনের সংযোগ কেটে দেন।