ফেনী সার্কিট হাউস প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন ভূমি ও খাদ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার
ফেনী সার্কিট হাউস প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন ভূমি ও খাদ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় এখন ৫৫ লাখ পরিবার: আলী ইমাম মজুমদার

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় নতুন আরও পাঁচ লাখ পরিবার যুক্ত হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন খাদ্য ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার। তিনি বলেছেন, এই কর্মসূচিতে  ৫০ লাখ পরিবারকে পাঁচ মাস ধরে ৩০ কেজি করে চাল দেওয়া হতো। এবার এটি সম্প্রসারিত করে ৫৫ লাখ পরিবার ও ৬ মাস করা হয়েছে। ১৭ আগস্ট খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি শুরু হতে যাচ্ছে। আগস্ট থেকে নভেম্বর এবং ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চ এই ৬ মাস চাল দেওয়া হবে। ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসে সাধারণত আমন ফসল আসে, সে জন্য মাঝে এ দুই মাস বন্ধ থাকবে। ইতিমধ্যে এর সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলেও জানান উপদেষ্টা।

আজ বুধবার বিকেলে ফেনী সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথাগুলো বলেন।

আলী ইমাম মজুমদার বলেন, একসময় রেশনের চাল রান্না করলে অনেক গন্ধ বের হতো। আগে চালের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ওষুধপত্র দেওয়া হতো, এখন সেদিন চলে গেছে। বর্তমানে চালের মান অনেক ভালো। যে চাল বাজারে ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়, সেই চালই ওএমএসে ৩০ টাকায় দেওয়া হচ্ছে। সে একই চাল খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতেও ১৫ টাকায় পাবে মানুষ।

উপদেষ্টা বলেন, ‘বর্তমানে আমাদের ২২ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য মজুত রয়েছে। এর মধ্যে ২০ লাখ মেট্রিক টনের বেশি রয়েছে চাল। আমন ফসল ভালো হলে আমদানিও খুব বেশি করতে হবে না।’

ফেনীর বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পুনর্বাসন প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, এখানকার বাঁধগুলো মেরামতের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আশা করি, দ্রুত বাস্তবায়ন হবে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পুনর্বাসন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ভবিষ্যতেও ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সব ধরনের সহায়তা করা হবে। যাঁরা হতদরিদ্র, তাঁরা খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় আসবে।

এ সময় চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো. জিয়াউদ্দীন, ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মো. এমদাদুল হক চৌধুরী, ফেনী জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।