
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ধর্ষণের শিকার এক কিশোরী মারা গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতের এ ঘটনায় পুলিশ দুজনকে আটক করেছে।
এ ঘটনায় আটক ব্যক্তিরা হলেন মমিনুল ইসলাম ওরফে মোহন (২২) ও আতিকুর রহমান (২৩)। মমিনুলের বাড়ি রাজশাহীর বাগমারায় আর আতিকুর পাবনার চাটমোহরের বাসিন্দা।
পুলিশ ও মৃত কিশোরীর পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, মমিনুল এবং গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের ওই কিশোরীর মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিকে মমিনুল কৌশলে কিশোরীকে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চান্দরা এলাকার আব্দুল মান্নান প্লাজা নামের একটি হোটেলে নিয়ে যান। পরে তিনি ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেন। এ সময় মেয়েটির প্রচুর রক্তক্ষরণ শুরু হলে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন তিনি। এরপর রাত ৯টার দিকে তিনি আতিকুরকে সহযোগিতার জন্য ডেকে আনেন। কিশোরীকে হোটেল থেকে নিচে নামিয়ে প্রথমে একটি ওষুধের দোকানে নিয়ে যান তাঁরা। সেখান থেকে কিশোরীকে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের কুমুদিনী হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসক কিশোরীর অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন।
পুলিশ সূত্র জানায়, রাত সাড়ে ১২টায় কুমুদিনী হাসপাতাল থেকে কিশোরীকে অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকা মেডিকেলের উদ্দেশে রওনা করেন দুই যুবক। কিন্তু গাজীপুরের কালিয়াকৈর থানার চন্দ্রা এলাকায় পৌঁছালে কিশোরীর মৃত্যু হয়। অ্যাম্বুলেন্সচালক বিষয়টি বুঝতে পেরে কৌশলে গাড়িটি ঘুরিয়ে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানায় চলে যান। সেখানে দুজনকে আটক করে পুলিশ। এরপর তাঁদের কালিয়াকৈর থানায় নিয়ে আসা হয়।
কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মান্নান শুক্রবার রাত সাড়ে সাতটায় মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনায় আটক দুজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হচ্ছে। আটক দুজন থানায় আছেন। কিশোরীর মরদেহ টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে আছে।