
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান বলেছেন, আগামী দিনে সমগ্র বাংলাদেশ তাকিয়ে আছে তারেক রহমানের দিকে। এ জন্য একটি ন্যায়ভিত্তিক সমাজব্যবস্থা ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রকাঠামো প্রতিষ্ঠার জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে আজ বুধবার দুপুরে বরিশাল নগরের সদর রোডের অশ্বিনী কুমার হল চত্বরে এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন সেলিমা রহমান। পরে বিজয় শোভাযাত্রার আয়োজন করে বরিশাল মহানগর ও উত্তর জেলা বিএনপি। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন নগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামামান খান।
সেলিমা রহমান বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য একটাই জনগণের ক্ষমতা পুনরায় জনগণের মাঝে ফিরিয়ে দেওয়া। এ জন্য বিএনপির প্রতিটি নেতা-কর্মীকে ধৈর্য ও সহনশীলতার সঙ্গে এ কাজকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। ’
সমাবেশ শেষে একটি বর্ণাঢ্য বিজয় শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি নগরের সদর রোড থেকে শুরু হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বান্দ সড়কে গিয়ে শেষ হয়। এতে বিএনপির বরিশাল বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান, কেন্দ্রীয় সদস্য মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ, হাসান মামুন, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা দেওয়ান শহীদুল্লাহ, মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব জিয়াউদ্দিন সিকদারসহ মহানগরের ৩০টি ওয়ার্ড এবং উত্তর জেলা ও বিভিন্ন উপজেলা থেকে আসা বিএনপি নেতা-কর্মীরা অংশগ্রহণ নেন।
বরিশালের বাবুগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত আবদুল্লাহ আল আবিরের কবর জিয়ারত ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছেন বেগম সেলিমা রহমান। আজ সকাল ৯টার দিকে বাবুগঞ্জ উপজেলার বাহেরচর ক্ষুদ্রকাঠী গ্রামে যান তিনি। পরে শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় এবং আন্দোলনে আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় কোটা সংস্কার ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত বাবুগঞ্জের আরেক শহীদ ফয়সাল আহাম্মেদ শান্ত, রাকিব হোসাইন রাজিবসহ দেশের অন্য শহীদদেরও স্মরণ করেন বিএনপির এই নেতা। সেলিমা রহমান বলেন, ‘এই শহীদদের আত্মত্যাগ জাতির ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। ন্যায়বিচার ও সমতা প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে তাঁদের বলিদান আমাদের চলার পথের অনুপ্রেরণা।’