
মাত্র চার–পাঁচ দিন পরই খেজুরের গাছগুলোর থেকে রস আহরণ শুরু হতো, যা থেকে তৈরি হতো খেজুরের গুড়। হতদরিদ্র কৃষক আবদুল মজিদ সেভাবেই খেজুরগাছগুলো তৈরি করেছেন। গত বছর এসব গাছের রস থেকে ২০ হাজার টাকা মূল্যের গুড় বিক্রি করেছেন তিনি। এবারও একই আশা ছিল তাঁর।
তবে গতকাল সোমবার সকালে প্রতিবেশী মোজাফ্ফর হোসেন জমিটির দখল নিতে গাছগুলোর মাথা কেটে দিয়েছেন বলে অভিযোগ কৃষক আবদুল মজিদের। তাঁর দাবি, ১৪ শতাংশ জমিতে থাকা প্রায় ৪০টি খেজুরগাছ ও ৫০টি কলাগাছ কেটে দেওয়া হয়েছে। জমির মালিকানা নিয়ে মামলা চলমান থাকায় নিজের দখলে নিতে তাঁর প্রতিবেশী কাজটি করেছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার ফাদিলপুর গ্রামে।
আবদুল মজিদের অভিযোগ, আরএস রেকর্ডের সময় মোজাফ্ফর হোসেন উপস্থিত থেকে তাঁদের জমিগুলোর জরিপকাজে সহযোগিতা করেন। সে সময় সুযোগমতো এই ৩২ শতাংশ জমি তিনি নিজের নামে রেকর্ড করে নেন। বিষয়টি বুঝতে পেরে তাঁরা রেকর্ড সংশোধনের জন্য ঝিনাইদহ আদালতে একটি মামলা করেন। মামলাটি চলছে।
অভিযোগ অস্বীকার করে মোজাফ্ফর হোসেন দাবি করেন, তিনি এই জমি কিনেছেন। দলিল আছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, যাঁর কাছ থেকে জমি কেনা হয়েছে, তিনি দাঁড়িয়ে থেকে রেকর্ড করে দিয়েছেন। এভাবে জমি ক্রয়-বিক্রয় হয় কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, নিজেদের মধ্যে হবে না কেন? আর গাছগুলো কাটার বিষয়ে বলেন, জমি দখলে নিতে হলে এ ছাড়া তাঁর উপায় ছিল না।
এ বিষয়ে কোটচাঁদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন মাতুব্বর বলেন, এখন পর্যন্ত অভিযোগ নিয়ে থানায় কেউ আসেননি। তবে এলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।