চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার ফতেপুরে পূর্ব বিরোধের জের ধরে বিএনপির এক পক্ষের হামলায় অপর পক্ষের ১৪ জন আহত হন। এর মধ্যে দুজন বুধবার রাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন। মঙ্গলবারের ছবি
চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার ফতেপুরে পূর্ব বিরোধের জের ধরে বিএনপির এক পক্ষের হামলায় অপর পক্ষের ১৪ জন আহত হন। এর মধ্যে দুজন বুধবার রাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন। মঙ্গলবারের ছবি

নাচোলে বিএনপির দুই পক্ষের দ্বন্দ্বে প্রাণ গেল দুই ভাইয়ের

চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে বিএনপির দুই পক্ষের দ্বন্দ্বের জের ধরে এক পক্ষের হামলায় আহত দুই ভাই মারা গেছেন। বুধবার রাত পৌনে আটটার দিকে এক ভাই, পৌনে ১০টার দিকে আরেক ভাই মারা যান। গতকাল মঙ্গলবারের হামলায় আহত হয়ে তাঁরা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন মো. মিলন আলী (৬০) ও তাঁর আলম আলী (৫৫)। তাঁদের বাড়ি উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের সনকাই গ্রামে। মিলনের মৃত্যুর প্রায় দুই ঘণ্টা পরে মারা যান আলম আলী।

মৃত দুই ভাইয়ের মরদেহ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রয়েছে। নাচোল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের ভাষ্য, গোমস্তাপুর উপজেলার রূপপুর পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি আবদুস সালাম (তুহিন) ও নাচোল থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু তাহেরের (খোকন) সমর্থকদের সঙ্গে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আমিনুল ইসলামের সমর্থকদের মধ্যে দ্বন্দ্ব রয়েছে। গত রোববার তুহিন-খোকন পক্ষের লোকজনের মারধরে আমিনুলের পক্ষের এক ব্যক্তি গুরুতর আহত হন। ওই ঘটনার জেরে গতকাল মঙ্গলবার আমিনুলের সমর্থকদের হামলায় ওই দুই ভাইসহ ১৪ জন আহত হন।

মিলন আলীর ছোট ভাই সাইফুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, হামলায় আহত হয়ে তাঁর আরও দুই ভাই ও এক ভাতিজা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। নিহত মিলন আলীর ছেলে রাব্বানীর অবস্থা গুরুতর।

বিএনপির দুই পক্ষের দ্বন্দ্বে জের ধরে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হলেও দলটির নেতাদের ভাষ্য, এটা রাজনৈতিক কারণে হয়নি।

মঙ্গলবার হামলার বিষয়ে সাবেক সংসদ সদস্য আমিনুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেছিলেন, দুই পক্ষে বিএনপির লোকজন থাকলেও হামলা কোনো রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের কারণে হয়নি। স্থানীয় গ্রাম্য রাজনীতি থেকে এ ঘটনা ঘটেছে। একই কথা বলেছিলেন, নাচোল থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের। তিনি বলেন, ‘এটা কোনো রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব থেকে নয়, স্থানীয় গ্রাম্য রাজনীতির দ্বন্দ্ব থেকে ঘটেছে।