
ব্যক্তিমালিকানাধীন পুকুরে প্রথমে ময়লা-আবর্জনা ফেলে পরিত্যক্ত জায়গার মতো তৈরি করা হয়। এরপর টানা চার থেকে পাঁচ মাস রাতের আঁধারে বালু ফেলে পুকুরটি ভরাট করা হয়েছে। বিষয়টির সত্যতা পেয়ে ১০ জনের বিরুদ্ধে সিলেটের বিয়ানীবাজার থানায় একটি মামলা করেছেন পরিবেশ অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা।
ঘটনাটি ঘটেছে বিয়ানীবাজার উপজেলার ফতেপুর মৌজার টিএন্ডটি এলাকায়। গত সোমবার মামলাটি করা হয়েছে। বিষয়টি আজ বৃহস্পতিবার সকালে জানাজানি হয়েছে। ওই ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
মামলার আসামিরা হলেন উপজেলার নবাং গ্রামের আবদুর রশীদ, আবদুস সবুর, আবদুল হাই, আবদুল ফাত্তাহ, করিমুন নেছা, ফয়সল আহমদ ও জয়নাল মিয়া; মাটিজুরা গ্রামের ফরিদা ইয়াসমিন, সুপাতলা গ্রামের সাহাব উদ্দিন সাবু এবং মাথিউরা গ্রামের শাহিনুল ইসলাম। এ ছাড়া অজ্ঞাতপরিচয় তিন থেকে চারজনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলাটি করেন পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেট জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক বদরুল হুদা। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, পরিবেশ সংরক্ষণ আইনের ধারা ৬(ঙ) লঙ্ঘন করায় মামলাটি করা হয়েছে। আইন অনুযায়ী, মামলাটি পরিবেশ অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা তদন্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করবেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, অভিযোগ পেয়ে ১৯ এপ্রিল পরিবেশ অধিদপ্তরের একজন পরিদর্শক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পুকুর ভরাটের সত্যতা পান। এ অবস্থায় পুকুর ভরাট বন্ধ রাখতে সংশ্লিষ্ট একজনকে মৌখিকভাবে নির্দেশনা দেওয়া হয়। এরপরও রাতের আঁধারে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা পুকুর ভরাটের কাজ অব্যাহত রাখেন। এ অবস্থায় ৮ মে রাত ১১টার দিকে স্থানীয় বাসিন্দারা পুকুর ভরাটে বাধা দেন। এ সময় পুকুর ভরাটে ব্যবহৃত দুটি ট্রাক নিয়ে চালকেরা পালিয়ে যান; তবে দুটি মোটরসাইকেল রেখে যান। উপস্থিত লোকজন মোটরসাইকেলগুলো বিয়ানীবাজার থানায় নিয়ে যান। গত শনিবার বাদী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পুকুর ভরাটের সত্যতা পেয়ে থানায় মামলা করেন।
এজাহারে আরও বলা হয়, পুকুরটি বড় ও গভীর ছিল। জমির মালিকেরা ইচ্ছে করে সেখানে ময়লা ফেলে অংশবিশেষকে পরিত্যক্ত করে ধীরে ধীরে ভরাটের উপযোগী করেন। চার থেকে পাঁচ মাস ধরে রাতের অন্ধকারে পুকুরটি ভরাট করেছেন তাঁরা।