আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শেরপুর সরকারি ডি জে মডেল হাইস্কুল মাঠের পূর্ব পাশে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শেরপুর সরকারি ডি জে মডেল হাইস্কুল মাঠের পূর্ব পাশে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়

শেরপুরে বিদ্যালয়ের মাঠে তাঁত শিল্পপণ্য মেলা বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন

বগুড়ার শেরপুর সরকারি ডি জে মডেল হাইস্কুল মাঠে জেলা প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই শেরপুর প্রেসক্লাব আয়োজন করেছে মাসব্যাপী তাঁত শিল্পপণ্য মেলা। খেলার মাঠে মেলার আয়োজন ও মাঠে অবকাঠামো নির্মাণের প্রতিবাদে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে এলাকাবাসী ও ক্রীড়াপ্রেমীরা মানববন্ধন করেছেন।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ‘খেলা বাঁচাও আন্দোলন’ নামে একটি সংগঠনের ব্যানারে মাঠের পূর্ব পাশে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, এই মাঠে সারা দিন খেলাধুলার অনুশীলন চলে। এ ছাড়া সকালে হাঁটাহাঁটি ও ব্যায়ামের জন্যও ভরসা এই মাঠ। কিন্তু প্রায় ১০ দিন ধরে এখানে মেলার অবকাঠামো নির্মাণের কাজ চলছে। মেলা আয়োজনের জন্য ইতিমধ্যে বিদ্যালয়ের মাঠের সীমানাপ্রাচীর ভেঙে ফেলা হয়েছে। মাঠের ভেতরে চলছে মেলার সাজসজ্জা ও স্টল নির্মাণের কাজ।

শেরপুর ইউনাইটেড ফুটবল একাডেমির সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন বলেন, শেরপুরে খেলার মাঠ না থাকায় প্রায় ১০ বছর ধরে তাঁরা সরকারি ডি জে হাইস্কুল মাঠে নিয়মিত ফুটবল অনুশীলন করে আসছেন। শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে তরুণেরাও এই মাঠে ফুটবল অনুশীলন করেন। স্কুল মাঠে মেলার আয়োজন করায় এখন অনুশীলন বন্ধ রয়েছে। খেলাধুলার চর্চা নিশ্চিত করতে বিদ্যালয় মাঠে মেলা আয়োজনের উদ্যোগ বন্ধ করা দরকার।

শেরপুর খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবদুল খালেক বলেন, এই মাঠ শুধু খেলাধুলার জন্য নয়, শেরপুরবাসীর জন্য একমাত্র উন্মুক্ত মাঠ। স্কুল মাঠ কোনোভাবেই বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহার করা ঠিক হবে না।

ভেঙে ফেলা হয়েছে বিদ্যালয়ের মাঠের সীমানাপ্রাচীর

আয়োজক শেরপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি নিমাই ঘোষ জানান, তাঁরা জেলা প্রশাসক, উপজেলা প্রশাসন ও স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে মাঠ ব্যবহারের অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছেন। এ কারণে প্রস্তুতিমূলক কাজ শুরু করা হয়েছে। প্রশাসনের অনুমতি পেলে মাসব্যাপী মেলা শুরু হবে।

শেরপুর সরকারি ডি জে মডেল হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক আখতার উদ্দিন বলেন, মাঠ ব্যবহারের অনুমতির বিষয়টি বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির এখতিয়ারভুক্ত, যার সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। তিনি দাবি করেন, মাঠে অবকাঠামো নির্মাণ ও বিদ্যালয়ের মাঠের সীমানাপ্রাচীর ভেঙে ফেলার বিষয়ে তিনি অবগত নন।

মাঠের মাঝখানে গর্ত করে তৈরি করা হচ্ছে অবকাঠামো

এ বিষয়ে শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশিক খান বলেন, মেলা আয়োজনে প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে অনুমতি চেয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে একটি আবেদন করা হয়েছে। আয়োজকেরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, মেলা শেষে মাঠের সংস্কারকাজ তাঁরা নিজ দায়িত্বে করবেন।

বগুড়ার জেলা প্রশাসক হোসনা আফরোজা বলেন, ‘শেরপুর সরকারি ডি জে মডেল হাইস্কুল মাঠে মাসব্যাপী তাঁত শিল্পপণ্য মেলা আয়োজনের অনুমতি চেয়ে করা একটি আবেদন পেয়েছি। তবে এখনো মেলা আয়োজনে কাউকে অনুমোদন দেওয়া হয়নি।’