Thank you for trying Sticky AMP!!

ফরিদপুরে আজ মঙ্গলবার সকালে সড়ক দুর্ঘটনায় এক পরিবারের চারজন নিহত হয়েছেন

এক সকালে বাবা–মায়ের সঙ্গে নাই হয়ে গেল ছোট্ট রোহান–সিনান

ফরিদপুর সদরের কানাইপুরে আজ মঙ্গলবার সকালে সড়ক দুর্ঘটনায় চার সদস্যের একটি পরিবারের সবাই নিহত হয়েছেন। আজ সন্ধ্যায় পারিবারিক কবরস্থানে চারজনকে পাশাপাশি দাফন করা হবে।

দুর্ঘটনায় নিহত পরিবারের সদস্যরা হলেন রাকিবুল হাসান মোল্লা ওরফে মিলন (৩৫), তাঁর স্ত্রী শামীমা আক্তার ওরফে সুমি (২৩) এবং তাঁদের দুই ছেলে আলবি রোহান (৬) ও আবু সিনান (৩)।

রাকিবুল ঢাকায় গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে লিফটম্যান হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তাঁর বাড়ি ফরিদপুরের ছত্রাকান্দা গ্রামে। তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে রাকিবুল মেজ।
রাকিবুল ঈদের ছুটি শেষে গতকাল সোমবার ঢাকায় কর্মস্থলে যোগ দিয়ে বিকেলে আবার বাড়িতে যান। আজ সকালে তিনি তাঁর স্ত্রী, দুই ছেলে ও মাকে নিয়ে পিকআপ ভ্যানে ফরিদপুরে আসছিলেন।

Also Read: ফরিদপুরে সড়কে নিহত ১৩ জনের ৪ জন একই পরিবারের

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম থেকে চুয়াডাঙ্গাগামী ইউনিক পরিবহনের সঙ্গে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা থেকে আসা একটি পিকআপ ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে ১১ জন এবং ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুজনসহ মোট ১৩ জন মারা যান।

এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন রাকিবুলের মা হুবাইয়া বেগম (৬০)। তিনি ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

আজ বেলা একটার দিকে রাকিবুল ও তাঁর এক ছেলের লাশ প্রথমে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। রাকিবুলের ভাবি মরিয়ম হুসাইন বলেন, আজ সকাল ছয়টার দিকে রাকিবুল একটি পিকআপ ভ্যান নিয়ে এলাকার লোকজনের সঙ্গে ফরিদপুরের উদ্দেশে রওনা হন। পথে কানাইপুর এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় সপরিবার নিহত হন তিনি। এই পিকআপ ভ্যানের চালক ছিলেন আলফাডাঙ্গার কুসুমদী গ্রামের মো. নজরুল (৩২)। তিনিও দুর্ঘটনায় নিহত হন।

Also Read: ফরিদপুরে দুর্ঘটনায় ১৩ জনের মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত কমিটি

বেলা দেড়টার দিকে শামীমা আক্তার ওরফে সুমি (২৩) ও আরেক সন্তানের লাশ বাড়িতে আনা হয়। রাকিবুলের বাবা তারা মোল্লা কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘আমি কী অন্যায় করেছিলাম যে আমাকে এত শাস্তি পেতে হলো?’