উপজেলা পরিষদের মোহাম্মদ মুজিবর রহমান ঢালী স্মৃতি মিলনায়তনে শিক্ষার্থীদের উল্লাস। আজ বৃহস্পতিবার
উপজেলা পরিষদের মোহাম্মদ মুজিবর রহমান ঢালী স্মৃতি মিলনায়তনে শিক্ষার্থীদের উল্লাস। আজ বৃহস্পতিবার

জয়পুরহাটে জিপিএ-৫ সংবর্ধনা

‘নতুন করে স্বপ্ন দেখো, নতুন কিছু উদ্ভাবন করো’

জয়পুরহাটে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সদর উপজেলা পরিষদের মোহাম্মদ মুজিবর রহমান ঢালী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের উপস্থিতিতে উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়।

সহপাঠীদের সঙ্গে দেখা হওয়ায় উচ্ছ্বসিত ছিল শিক্ষার্থীরা। কেউ পুরোনো বন্ধুকে জড়িয়ে ধরে খোঁজখবর নেয়, কেউ সেলফি স্ট্যান্ডে ছবি তোলে।

প্রথম আলোর আয়োজনে এবং শিক্ষার ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম শিখোর পৃষ্ঠপোষকতায় এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়। সকালে তিনটি স্টল থেকে শিক্ষার্থীরা সারিবদ্ধভাবে ক্রেস্ট ও নাশতা সংগ্রহ করে। জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে মূল অনুষ্ঠান শুরু হয়।

অনুষ্ঠানে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রুহুল আমিন বলেন, ‘আজকের এই সংবর্ধনা তোমাদের আরও বেশি দায়িত্বশীল, অধ্যবসায়ী ও আত্মবিশ্বাসী করে গড়ে তুলবে বলে আমি মনে করি। ভালো লেখাপড়ার পাশাপাশি তোমাদের ভালো মানুষ হতে হবে। প্রতিযোগিতার পাশাপাশি পরস্পরকে সহযোগিতা করবে। নতুন করে স্বপ্ন দেখো, নতুন কিছু উদ্ভাবন করো।’

রামদেও বাজলা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. ফজলুল হক বলেন, ‘তোমরা এসএসসিতে ভালো ফলাফল করেছ বলেই তোমরা সংবর্ধিত হচ্ছ। তোমাদের জয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। একটি স্মার্টফোনে ভালো-মন্দ সবকিছু পাওয়া যায়। আমরা স্মার্টফোনের ভালো তথ্যগুলো নেব।’

জয়পুরহাট সদর থানার উচ্চবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমি বর্তমান প্রজন্মকে নিয়ে খুব চিন্তিত ছিলাম। ২০২৪ সালে আমার সেই চিন্তা ভুল প্রমাণিত হয়েছে। তোমরাই আগামী বিশ্বকে জয় করতে পারবে। তোমাদের মধ্যে স্পৃহা ও মেধা রয়েছে। তোমাদের পড়াশোনার সাফল্যের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।’

প্রথম আলোর রাজশাহীর নিজস্ব প্রতিবেদক আবুল কালাম মুহাম্মদ আজাদ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘প্রথম আলোর সম্পাদক বলেন, আমরা বাংলাদেশের জয় দেখতে চাই। তোমাদের হাত ধরেই আসবে বাংলাদেশের জয়। তোমাদের ভালো মানুষ ও সফল মানুষ হিসেবে দেখতে চাই।’ এ সময় তিনি শিক্ষার্থীদের মাদক, মিথ্যা, মুখস্থ ও দুর্নীতিকে ‘না’ বলার শপথ করান।

দুই কৃতী শিক্ষার্থী আদিবা জাইনা ও রাফসান তালুকদার তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করে। রাফসান বলে, ‘প্রথম আলো-শিখো আমাদের সংবর্ধিত করল, এটা আমাদের ভালো ফলাফলের অনুপ্রেরণা জোগাবে। আমরা প্রথম আলো ও শিখোকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’

জানাতুন মাওয়া সৈতী মা কানিজ ফাতেমা ও বাবা আবুল কালাম আজাদকে নিয়ে অনুষ্ঠানে অংশ নেয়। সেলফি স্ট্যান্ডে ছবি তুলে সে বলে, ‘আমার কী যে আনন্দ লাগছে, তা ভাষায় বোঝাতে পারব না!’

অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করেন চ্যানেল আইয়ের গানরাজ সাজিয়া ইসলাম পায়েল। জয়পুরহাট বন্ধুসভার বন্ধুরা একক ও দলীয় নৃত্য পরিবেশন করে।

স্বাগত বক্তব্য দেন প্রথম আলোর জয়পুরহাট প্রতিনিধি রবিউল ইসলাম। তিনি প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানের বক্তব্য পড়ে শোনান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আরমান হোসেন ও সাব্বির হোসেন।

আয়োজনটির পাওয়ার্ড বাই পার্টনার ছিল কনকা-গ্রি। সহযোগী ছিল কনকর্ড গ্রুপ, ফ্রেশ, বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেড, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক পিএলসি, কোয়ালিটি গ্রুপ, প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি, অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ শাখা ক্যাম্পাস, আকিজ টেলিকম লিমিটেড, আম্বার আইটি লিমিটেড, এটিএন বাংলা ও প্রথম আলো বন্ধুসভা।